শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের অবসান হওয়ায় চট্টগ্রামের বীর জনতাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। গতকাল সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা চট্টগ্রামের আপামর জনতাকে শান্ত থেকে ধৈর্য্যের সঙ্গে পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে কেউ কোনো ধরনের নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যাতে জড়িত হতে না পারে, সেজন্য বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতারা বিবৃতিতে বলেন, দেশজুড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সারদেশে ছাত্র–জনতা মিলে স্বৈরাচারী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যে অভূতপূর্ব সংগ্রাম গড়ে তুলেছেন, অনেক রক্ত ও ত্যাগ–তিতিক্ষার বিনিময়ে আজ সেই সংগ্রাম পূর্ণতা পেয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর রাজপথ দখলে নিয়ে ছাত্র–জনতা ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গণরোষের মুখে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো বসে থাকা অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পার্শ্ববতী দেশে চলে গেছেন। শত, শত ছাত্র জনতার প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ আজ আবার নতুন করে স্বাধীন হয়েছে।
বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা আরও বলেন, স্বৈরাচারের পতনের পর চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনতা রাজপথে নেমে এসেছেন, বিজয় উল্লাস করছেন। আমরা বীর জনতাকে অভিবাদন জানাই। একইসঙ্গে চট্টগ্রামের বীর জনতার প্রতি আমাদের আহ্বান, সেনাপ্রধানের ঘোষণার পর আমাদের শান্ত থেকে, সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করে ধৈর্য্য ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বহু প্রাণের বিনিময়ে এ বিজয় এসেছে। তাই ছাত্র–জনতাকে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। শান্তি–শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। প্রতিহিংসার রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাসও করি না। এ দেশ আমাদের। ছাত্র–জনতার আকাঙ্খানুযায়ী দেশ সঠিক পথে অগ্রসর হবে বলেও তারা বিবৃতিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।