বাংলাদেশের অলিম্পিক মিশন মানেই কেবল অংশ নেয়া। এবারো সে অংশ নেয়াতেই শেষ হয়েছে মিশন। গতকাল আরও একবার ব্যর্থতার মুখ দেখেছে তারা। পাঁচ অ্যাথলেটের সবাই বাদ পড়েছেন নিজেদের ইভেন্ট থেকে। গতকাল মেয়েদের ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে নিজের হিটে ষষ্ঠ হন সোনিয়া খাতুন। আর ছেলেদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে প্রাথমিক হিটে ইমরানুর রহমানও ছয়ে থেকে শেষ করেন। দশটি হিট থেকে ৭৯ জন সাঁতারুর মধ্যে বাছাই করা সেরা ১৬ জনকে নিয়ে হবে সেমিফাইনাল। সবমিলিয়ে সোনিয়া খাতুনের অবস্থান ছিল ৬৪তে। ৩০.৫২ সেকেন্ডে সাঁতার শেষ করেন তিনি।
এই টাইমিং শেষে সোনিয়া বলেছেন, ‘চেষ্টা করেছিলাম আরও একটু ভালো করার। তা হলো না। অলিম্পিকের অভিজ্ঞতা ক্যারিয়ারে সামনের দিকে কাজে লাগবে।’ সাঁতার দলের কোচ আব্দুল হামিদও প্যারিস এসেছেন। সোনিয়ার টাইমিং নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘অনুশীলন শুরু হয়েছে জুনের প্রথম সপ্তাহে। মাঝে ঈদের ছুটি ছিল। টাইমিং কমানোর জন্য যথেষ্ট সময় ছিল না।’
ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে নিজের সেরা টাইমিংয়ের ধারেকাছেও যেতে পারেননি ইমরানুর। ১০.৭৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করেন তিনি। ফলে বাদ পড়তে হয় হিট থেকেই। এদিকে এর আগে প্যারিস অলিম্পিকে বাছাই থেকে বাদ পড়েন আর্চার সাগর ইসলাম, শুটার রবিউল ইসলাম ও সাঁতারু সামিউল ইসলাম রাফি। ইমরানুর তার সেরা টাইমিংয়ের (১০.১১ সেকেন্ড) ধারেকাছেও ছিলেন না। খেলা শেষে ইমরানুর দুষলেন ইনজুরিকে। যে কারণে অলিম্পিকে অংশই নিতে চাননি তিনি। ইমরানুর বলেন,‘আমি তো আগেই খেলতে চাইনি। ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন হাওয়ার্ডও আগেই খেলতে না করেছিলেন। আজ যে টাইমিং করেছি তা আগে কখনও করেছি কি না মনে করতে পারছি না। বাজে টাইমিং করায় খারাপ লাগছে।’ গত মার্চে এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকসে চোট পান ইমরানুর। এপ্রিলে ইমরানুর অনুশীলন করতে গেলে তলপেটের পেশি ছিড়ে যায় তার। তখনই বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনকে অলিম্পিকে না খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ঢাকা থেকে খেলার জন্য বলা হয়। এরপর থেকে ইমরানুর ছিলেন রিহ্যাবে। তবে আথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু বলেন এসব কিছু জানতেন না তিনি।