মাইজভাণ্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মন্জিলের ব্যবস্থাপনায় ‘শান্তি কুঞ্জ’ ভবনের নিচতলায় পবিত্র তাবার্রুকাতের প্রদর্শনী কক্ষ গতকাল শুক্রবার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন গাউসিয়া হক মন্জিলের সাজ্জাদানশীন ও শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি হযরত শাহ্ সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)। এসময় তিনি বলেন, দর্শনার্থীরা যাতে আউলিয়ায়ে কেরামের স্মৃতিধন্য তাবার্রুকাত দর্শনের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ইসলামের ইতিহাস–ঐতিহ্য পৌঁছিয়ে দিতে পারেন এবং এ থেকে শিক্ষা ও বরকত লাভ করতে পারেন এরই একটি উদ্যোগ এ প্রদর্শনী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের উপ–পরিচালক কাম কিপার ড. মো. আতাউর রহমান, শাহজাদায়ে গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী সৈয়দ মুনতাজির জিয়া, মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রিয় পর্ষদের সভাপতি রেজাউল আলী জসিম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় পর্ষদের সদস্যবর্গ, এস জেড এইচ এম ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এমডি জাফর, ট্রাস্টের শিক্ষা বিভাগের সভাপতি সৈয়দ বদিউজ্জামান মাইজভাণ্ডারীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং অসংখ্য ভক্ত–জায়েরীন।
মনোরম ও নান্দনিক পরিবেশে মিউজিয়ামটিতে রয়েছে, ইসলামের ইতিহাস–ঐতিহ্য সম্বলিত দুর্লভ ছবি, মাইজভাণ্ডারীয়া ত্বরিকার প্রবর্তক গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারীর ত্বরিকা শজরার ঊর্ধ্বতন শাইখ পরিচিতি, গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর ব্যবহৃত সামগ্রী ও নিদর্শন, খোলাফা দরবারে রক্ষিত নিদর্শন, ঐতিহ্যবাহী মাইজভাণ্ডারী সাহিত্য ভাণ্ডারের আদি সংস্করণ, হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর ব্যবহৃত সামগ্রীসমূহ।
প্রদর্শনী কক্ষটি দর্শনার্থীদের জন্যে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে (জুমার নামাযের জন্য ১২.৩০টা হতে ২টা পর্যন্ত বিরতি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।