হল্যান্ড থেকে

দেবদাস এবং সুন্দর ও নিরাপদ আগামীর প্রত্যাশায়

বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া | শনিবার , ৩ আগস্ট, ২০২৪ at ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

সেই কবে স্কুল বয়সে পড়েছিলাম ‘দেবদাস’। অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের কালজয়ী প্রেমের উপন্যাস। এখনো মনে আছে পড়ে মন খারাপ হয়েছিল, চোখের জলে না ভাসলেও, চোখ দুটো বারবার ঝাপসা হয়ে আসতো। একবার তো নয় যতবার পড়েছি ততবার। কয়েক যুগ আগে পড়া বইটি আবার পড়লাম সপ্তাহ খানেক আগে। যে আবেগ নিয়ে সেই স্কুল বয়সে পড়েছিলাম, অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, অনেকটা সেই আবেগ কাজ করলো এতটা সময় পার হয়ে এসে বইটি পড়তে গিয়ে। তার মানে এখনো, এতো বছর পরও ‘দেবদাসের’ একই আবেদন রয়ে গেছে আমার মতো পাঠকের কাছে। সাধারণত স্কুল বয়সে যে সমস্ত প্রেমের গল্প, ঘটনা কিংবা উপন্যাস, কিংবা সে সময়ে দেখা প্রেমনির্ভর ছায়াছবি মনের মধ্যে যে দাগ সৃষ্টি করে, পরিণত বয়সে এসে সেই আবেগ, সেই টানটান উত্তেজনা, অনুভূতি অনেকটা স্থিমিত হয়ে আসে। কী অবাক করা ‘দেবদাস’ পড়তে গিয়ে আমার ভেতরকার সেই আবেগ, আগের উত্তেজনা যেন ফিরে এলো। জানিনে ‘দেবদাস’ নিয়ে বিগত বছরগুলিতে বাংলা, হিন্দি ভাষায় নির্মিত ছায়াছবি দেখার কারণে কিনা। ‘দেবদাস’ নিয়ে লিখতে গিয়ে মনে পড়ে ডাক্তার চাচার কথা। পুরো নাম ডাক্তার ইউসুফ আহমদ। হল্যান্ডে কয়েক যুগ ছিলেন, সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন বছর পাঁচেক আগে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় দেশের জন্যে সমর্থন ও অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গোটা ইউরোপ চষে বেড়িয়েছিলেন। ‘বঙ্গবন্ধু’ বলতে অজ্ঞান এই ডাক্তার চাচা একদিন কথা প্রসঙ্গে বললেন, ‘বাবারে, আমাদের সময় জমিদার পুত্র দেবদাস লেখাপড়ার জন্যে কলকাতা যায়, আর তোমাদের সময়কার দেবদাস যায় ইংল্যান্ডে।’ বুঝতেই পারছেন যে সঞ্জয় লীলা বংশালী পরিচালিত সুপারডুপার হিট হিন্দি ছায়াছবি ‘দেবদাস’ প্রসঙ্গে তিনি এই কথা বলছিলেন। এই ছবিতে দেবদাসের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান, পার্বতীর ভূমিকায় ঐশ্বরী রায় এবং চন্দ্রমুখীর ভূমিকায় মাধুরী। শরৎ বাবুর ‘দেবদাস’ থেকে নির্মাতা সঞ্জয় লীলা কিছুটা সরে এলেও মূল গল্প ঠিক থাকায় ছবিটি আবেগপ্রবণ দর্শকের মনকে ছুঁয়েছে সে কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ভাবি কী করে মাত্র ২৫ বছর বয়সে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এমন একটি মনকাড়া উপন্যাস লিখতে পারলেন। প্রায় দুশো বছর আগে লেখা কাহিনীর একই আবেদন রয়ে গেছে আজকের দিনের পাঠকের মাঝে ভাবতে অবাক হতে হয় বৈকি। প্রথম ‘দেবদাস’ নির্মাণ করেন প্রমথেশ বড়ুয়া, সেটি ১৯৩৫ সালে, উপন্যাসটি লেখার ৩৪ বছর পর। বাংলাদেশেও দেবদাসকে নিয়ে ছায়াছবি নির্মিত হয়েছিল। শরৎচন্দ্র দেবদাস লিখেছিলেন ১৯০১ সালে। এখনো পাঠকের কাছ এর আবেদন এতটুকু কমেনি। বুঝি তাই এটি সত্যিকার অর্থে একটি কালজয়ী উপন্যাস।

কারো কারো মনে কৌতূহল জাগতে পারে, এতো বছর পর উপন্যাসটি আবার পড়তে যাওয়া কেন, কেনই বা এনিয়ে লিখতে যাওয়া। ‘কোটা সংস্কারের’ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই ঢাকা যেতে হয়েছিল পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবার জন্যে। অনুষ্ঠান হবার কথা শুক্রবার, ১৯ জুলাই। কিন্তু হলোনা। সেদিনই উত্তাল রূপ ধারণ করলো গোটা আন্দোলন। সহিংসতা, শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ, পুলিশের গুলি, বিভিন্ন স্থাপনা লুট, অগ্নিসংযোগ, ধংসযজ্ঞসব মিলিয়ে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো ঢাকাসহ গোটা দেশ জুড়ে। ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না, বাসার সামনে, বেলকনি, ছাদে কোথায় যাবে না। এমন কী ঘরের জানালার ধারে বসা বা উঁকি দেয়া যাবে না। এই ধরনের নিষেধ প্রথমে মনে হয়েছিল একটু বাড়াবাড়ি, কিন্তু পরে দেখলাম জানালার ধারে কিংবা ছাদে, বাসার সামনে অনেকেই গুলির আঘাতে মারা গেছে। ছিলাম উত্তরা। ঢাকার যে সমস্ত এলাকা সব চাইতে উত্তাল ছিল উত্তরা ছিল তার মধ্যে একটি। ফলে ঘরে সম্পূর্ণ বন্দি কটা দিন। কেবল টাইমমতো খাওয়া আর মাঝে মধ্যে বাসার ভেতর ‘ট্রেডমিলে’ হাঁটাহাঁটি। কেবল আমি নই আমাদের অনেকেই হাতে নিয়ে বই পড়ে না আজকাল। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের কথা বাদই দিলাম। সবার দৃষ্টি মোবাইল। দেশে এলে বই পড়ার সময় থাকে না। দৌড়ের মধ্যে থাকি। ইন্টারনেট নেই, বহিঃবিশ্বের সাথে যোগাযোগ নেই। মনে হলো একাত্তরেও বোধকটি এমনটি ঘটেনি। এতটা অসহায় নিজেকে মনে হয়নি। হল্যান্ডে রেখে এসেছি স্ত্রী এবং ছেলেমেয়েকে। ওদের সাথেও যোগাযোগ হচ্ছিল না। সরাসরি ফোনেও কথা স্পষ্ট ছিল না দিন কয়েক। আমার চাইতে ওরা বেশি উদ্বিগ্ন। কেননা ‘গুজবে’ কান পেতেছে বেশির ভাগ লোক, দেশে বিদেশে। কারো কারো মনে এই ধারণাও জন্মেছিল দেশ বুঝি আফগানিস্তান হয়ে যাচ্ছে, হয়তো দেখা যাবে প্লেন উড়ছে, তার পেছন পেছন নিরাপত্তার কারণে এক দল লোক দৌড়াচ্ছে। এই ভাবনায় তাদের কেউ কেউ যে উৎফুল্ল হতো কিংবা তেমন কিছু হলে হল্যান্ড সহ ইউরোপ ও আমেরিকায় অনেক বাংলাদেশি যে খুশি হতো সে গ্রুপ চ্যাটে ওদের মন্তব্য/পোস্ট দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না। আমার দুসন্তানের জননী সুমনা ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিতে থাকে। তাকে আশ্বাস দিয়ে বলি, তেমন কিছু হবে না। ভালো আছি, যদিওবা যা ঘটে চলেছে বা ঘটছে তা দুঃখজনক। মৃত্যু ও সন্ত্রাসীদের হাতে ধংসযজ্ঞ কোনটাই কাম্য নয়। এমন যখন পরিস্থিতি তখন হাতে তুলে নিয়েছিলাম কয়েকটি বই, তার মধ্যে একটি ‘দেবদাস’। বইটি নেবার আগে পড়বো কি পড়বো না এই ধরনের দোটানায় ছিলাম কিছুটা। কিন্তু যখন একবার পড়তে শুরু করলাম, তখন শেষ না করে বইটি ছাড়তে পারলাম না।

ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে কার্ফ্যুর মধ্যে চাটগাঁ ফিরে এলাম। নিকটজনেরা নিষেধ করছিল এই পরিস্থিতে রিস্ক নিয়ে চট্টগ্রাম নাআসার জন্যে। কেবল মিরপুর থেকে ভাগ্নি কাকলি খুদে বার্তা পাঠিয়ে লিখলো, ‘চাটগাঁ গেলে তোমার ভালো লাগবে, সেখানে তোমার বন্ধুবান্ধব, তোমার পৃথিবী।’ আসলেও তাই। ঢাকা আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। ঠিক করলাম সামনে যাই থাকুক, যাই ঘটুক প্লেনের টিকেট পেলেই চলে যাবো, সে কার্ফ্যু চলাকালীন সময়ে হোক কিংবা শিথিলকরা সময়ে। এর আগে ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে প্লেনের বোর্ডিংপাসকে ‘কার্ফ্যু পাস’ হিসাবে গণ্য করা হবে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এজেন্সি টিকেটের চড়া দাম চাইছে। ভাগ্নে কনক বললো, ১০১৫ হাজার টাকা হতে পারে। ‘সে যত দামই হোক, টিকেট পেলেই চলে যাবো‘, তাকে ফোনে বলি। বেচারা অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ফোনে ইউএস বাংলায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের একটি টিকেট পেল। তবে দাম ছিল সহনীয়। স্বাভাবিক পরিস্থিতে যে টিকেট ৪/৫ হাজার টাকা তা পেলাম ৬ হাজার টাকায়। সে অর্থে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলতে হয়। কিন্তু সবার ভাগ্যে এমনটি হয়নি। খবর পেলাম, সাংবাদিক বন্ধু মনসুরকে (ওসমান গনি) ঢাকা থেকে চাটগাঁ আসার প্লেনের টিকেটের জন্যে খসাতে হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এ নিয়ে দৈনিক আজাদীতে একটি সংবাদও চোখে পড়লো। টিকেট তো পাওয়া গেলো। কিন্তু পেলে কী হবে, টিকেট আমার কাছে পৌঁছাবে কী করে? আর সেটি না পেলে ‘কার্ফ্যু পাস’ তো হলো না। কিছুক্ষণ পর ভাগ্নে কনক মোবাইলে একটি পিএনআর নম্বর পাঠিয়ে বললো, এটি দেখালে হবে। ভাইপো ঋত্বিকের নিজস্ব গাড়ি এয়ারপোর্ট যাবে না, নিরাপত্তার কারণে। ভাঙচুর হতে পারে এই আশংকায়। তখনও ঢাকায় প্রাইভেট কার বের হচ্ছিল না দিন কয়েক ধরে। পরিচিত এক উবারচালককে ফোন করে আসতে বলি। তাকে তিনগুণ বেশি টাকা দিয়েছিলাম, তাতে কোনো ক্ষোভ বা দুঃখ ছিল না, কেননা উনি তার নিজের ও গাড়ির ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার কারণে রাস্তায় বের হয়েছিলেন এবং আমি যে তাকে পেয়েছিলাম তাতেই নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে করলাম। উত্তরা বাসা থেকে এয়ারপোর্ট দূরত্ব খুব বেশি নয়। পথে কোন ঝামেলা হয়নি। ঝামেলা হলো এয়ারপোর্ট পৌঁছে। ভিআইপি নয় আমি, তারপরও ভিআইপি এন্ট্রি গেইট দিয়ে প্রবেশ করতেই সিকিরিটির লোক টিকেট চাইলো। মোবাইলে তাকে পিএনআর নম্বর দেখলাম। সেটি দেখে উনি কিছু বুঝলেন বলে মনে হলো না। উনি একবার মোবাইলের দিকে, আর একবার আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, যান। হয়তো ধরে নিয়েছিলেন ভিআইপি গোছের কেউ হবে। বাইরে প্রচন্ড ভীড়। কারণ অনেককেই এয়ারপোর্ট এসে টিকেট করতে হচ্ছে। যাদের টিকেট নেই, তাদের এয়ারপোর্ট বাইরের দিকে মুখ করা কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী আমারও সেখান থেকে টিকেট করার কথা। কিন্তু ধরে নিয়েছিলাম কাউন্টারে গিয়ে পিএনআর নম্বর দেখালেই বোর্ডিং পাস ইস্যু করা হবে। কাউন্টারে বসা তরুণী আমার মোবাইলের মেসেজ দেখে বলেন, ‘আপনার পেমেন্ট হয়নি। পেমেন্ট হলেই আমরা বোর্ডিং পাস ইস্যু করবো’। উল্টোদিকে ইউএস বাংলার কাউন্টার দেখিয়ে বলেন, ‘ওখানে পে করতে হবে।’ গেলাম সেখানে। কাউন্টারের সামনে অর্থাৎ এয়ারপোর্টের বাইরে প্রচন্ড ভিড়। সবার একই সমস্যা। ভাগ্যিস ভেতর দিক থেকে গিয়েছিলাম। সেখানেও ভিড়। যে তরুণটি সেখানে কাজ করছিল পেছনদরোজা দিয়ে অর্থাৎ বেলাইনে যাত্রী আসার কারণে বিরক্ত প্রকাশ করলেন। আমার চোখাচোখি হতেই তার এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম বললাম। আমার দিকে একবার তাকালেন তারপর বললেন,আপনার পিএনআর নম্বর দিন। সেটি দেখে বললেন, ছয় হাজার টাকা পে করতে হবে। টাকা দেবার পর কোন রিসিট ছাড়াই একটা সাদা কাগজে আমার নম্বর আর টাকার সংখ্যা লিখে দিয়ে বললেন, এটি দেখালেই বোর্ডিং পাস ইস্যু করবে।

সিকিরিউটি চেক পার হয়ে ভেতরে গেলাম। মনে হলো হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। এতক্ষণে নিশ্চিত হলাম চাটগাঁ যাচ্ছি। এবার অপেক্ষার পালা। ভিড় আর টিকেটের অনিশ্চয়তার কারণে অনেক আগ বাড়িয়ে এয়ারপোর্ট এসেছি। প্রায় পৌনে চার ঘন্টা ঢাকা এয়ারপোর্টের ডোমেস্টিক টার্মিনালে বসে রইলাম। হাতের কাছে কোন বই নেই যে সময় কাটাবো। কোন পত্রিকাও পেলাম না। একবার চা, আর একবার কফি আর নিম্নমানের সিঙ্গারার বাইরের অংশ খেয়ে সময় কাটাতে থাকি। যাত্রীদের দেখতে থাকি। আমার সামনের চেয়ারে বসেছেন গতরে চর্বির অভাব নেই তেমন এক যাত্রী। বয়স অনুমান করি ষাট পেরিয়েছে। তার পাশে বসা দুজন তরুণ যাত্রী। তাদের কথাবার্তা কানে আসছে। বিষয় দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি। হতাশ কন্ঠে ভদ্রলোক ওই দুই তরুণকে বললেন, ‘এদেশে থাকার মত অবস্থা আর নেই। আমার তো দিন প্রায় গেছে, বয়স হয়ে গেছে। বাইরে যাবার উপায় নেই। কিন্তু ছেলেমেয়েদের কী হবে কে জানে।’ আমার এক সাংবাদিক বন্ধু কন্যার একমাত্র ছেলে পড়াশুনা করছে কানাডায়। ফেইস বুক বন্ধ হবার আগে তার একটি পোস্ট পড়লাম। সে লিখেছে– ‘ভেবেছিলাম লেখাপড়া শেষ হলে ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনবো। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি যে ভাবে মন্দের দিকে এগুচ্ছে তাতে মনে হয়, সে সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে ছেলেকে বলবো, ‘বাবা দেশে ফিরে আসার কোন দরকার নেই। ওখানেই থেকে যাও।’ একই কথা বললো ১৫ বছরের সৌর। জিপিএ ফাইভ পেয়ে সবে এসএসসি পাস করলো। সে বলে, ‘এদেশে থাকা যাবেনা। বাইরে চলে যাবো।’ আমার এক অতি ঘনিষ্ঠ অর্থবান ও ক্ষমতাবান ডাক্তার বন্ধুর দুই সন্তান পড়াশুনা করে ইউরোপে। তিনি বরাবর চেয়েছিলেন লেখাপড়া শেষে তারা দেশে ফিরে আসুক। জানিনে দেশের এই পরিস্থিতিতে তার চিন্তাভাবনায় কোন পরিবর্তন এসেছে কিনা। ভাবছি দেখা হলে জানতে চাইবো তার কাছে। কেননা দেশে যারা আছেন তারা তাদের সন্তানদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের জন্যে উদ্বিগ্ন। সব বাবামা চায় সন্তানদের জন্যে একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ, সুন্দর আগামী। সে প্রত্যাশা হোক আমাদের সবার।

লেখক : সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কলামিস্ট

পূর্ববর্তী নিবন্ধজলে ডুবে শিশুর মৃত্যু : সাঁতার শিক্ষা বাধ্যতামূলক হোক
পরবর্তী নিবন্ধপ্রতিহিংসা নয়, দায়িত্বশীল ভূমিকাই মুখ্য