কোটলি পাড়ার সূর্য সন্তান বাংলার অবিসংবাধিত সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নেতা শহীদ শেখ মুজিবুর রহমান। ৭ই মার্চ ১৯৭১ বজ্র কণ্ঠে দ্ব্যর্থহীনভাবে রেস কোর্স ময়দানে সমগ্র জাতির সামনে ঘোষণা করেছিলেন রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইন্শাহ–আল্লাহ্। তিনি কথা রেখেছেন। লাল সবুজের পতাকার দেশ সোনার বাংলা আমাদের এনে দিয়েছেন। এনে দিয়েছেন মায়ের ভাষা। আমাদের প্রিয় নেতা বাংলার অহংকার জাতির পিতা শহীদ শেখ মুজিবুর রহমান।
আমরা তাঁর স্বপ্নকে তিলে তিলে বাস্তবায়ন করতে চলেছি তাঁরই প্রিয় কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে। আজ যদি আমাদের জাতির পিতা বেঁচে থাকতেন এই সোনার বাংলা দেখলে আনন্দে আত্মহারা হতেন। কিন্তু আমরা তাঁকে রক্ষা করতে পারিনি এই দেশের ক্ষমতা লোভী, বেঈমান, মৌলবাদী, হায়ানার দলের প্রতিহিংসা কারণে। ১৫ আগস্ট‘ ৭৫ সপরিবারে খুন করে। ঐ দিনটি হয়ে গেল বিশ্বের ইতিহাসে সব চেয়ে কলংকিত অধ্যায় আমাদের বাংলাদেশের জন্য। আমরা হারালাম প্রিয় নেতা জাতির পিতাকে। স্বৈরাচারী দোষরা খুন করেও এরা এখনো ক্রান্ত হয়নি, সুযোগ পেলেই মাথাচড়া দিয়ে উঠে এবং সোনার বাংলাকে অস্থির করে তোলার জন্য দিন রাত ঘাপটি মেরে বসে আছে। কেন জানি না, এই দেশের সুখ শান্তি উন্নয়ন এরা কখনো সহ্য করতে পারে না। এরা স্বাধীনতা মানতে পারে না। পাকিস্তানি মৌলবাদী দালালরা দেশকে অস্থির করে জনগণের ও দেশের ক্ষতি করে চলেছে। সময় এসেছে সেই ’৭১ সালের মত আবাল বৃদ্ধবনিতা পুনরায় জেগে উঠতে হবে। প্রয়োজনে অস্ত্র আবার হাতে নিতে হবে। এই দেশে ছড়িয়ে থাকা দেশ বিরোধী শয়তানদেরকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে হবে। যেহেতু, আমি যুদ্ধ দেখেছি এবং মুক্তিযোদ্ধার সহযোগী ছিলাম। তখন কি পরিমাণ অনাচার অবিচার জ্বালাও পোড়াও হয়েছে চোখে দেখেছি। বহুকাল থেকে এক সঙ্গে বড় হয়ে উঠা মানুষগুলো কীভাবে এত নিষ্ঠুর হতে, অমানুষ হতে পারে ভাবলে আঁৎকে উঠি। মানুষ মানুষের জন্য এই কথাটির মূল্যবোধ তখন কিছু অমানুষের কারণে হারিয়ে গিয়েছিল। সব শেষে জাতির পিতার আত্মা সহ শহীদ পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও শান্তি সুখ কামনা করছি। জয় বাংলা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।