চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানেই বাঙালির ঠিকানা। বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু, অবিচ্ছেদ্য। দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নেতা হিসেবে সুপরিচিত বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনটা ছিল বহু ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ এক বিভীষিকাময় জীবন। বার বার তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন, কিন্তু পেছনে হটে যাননি কখনো। হরেক রকমের ষড়যন্ত্রের ঘেরাটোপে থেকেও তিনি নিজ যোগ্যতায় হয়ে উঠেছেন জাতির জনক, পরিণত হয়েছেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতায়। তাঁর অনুভবে ছিল বাংলার স্বাধীনতা, ছিল শোষকদের কবল থেকে পুরো বাঙালি জাতির মুক্তি।
চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বাঙালির ধ্রুবতারা বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক ১৫ দিনব্যাপী বিষয়ভিত্তিক সেমিনার, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি ও বইমেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। শৈলী প্রকাশন আয়োজিত প্রথম দিনের সেমিনারের বিষয় ছিল ‘শিক্ষার প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদান’। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলমের সভাপতিত্বে ও আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান প্রফেসর হাসানুল ইসলাম, কলামিস্ট অধ্যাপক কানাই দাশ, বায়েজিদ মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মাজহারুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক আমিনুর রশীদ কাদেরী ও দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদক রাশেদ রউফ।
উদ্বোধক এটি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু কোনো ব্যক্তির নাম নয়, তিনি সমগ্র বাঙালি জাতির কাছে হয়ে উঠেছিলেন অবিসংবাদিত নেতা।
মূল প্রবন্ধে প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা তাঁর ঐতিহাসিক আন্দোলন–সংগ্রামের ঘটনাসমূহের সঙ্গেও যুক্ত। ১৯৪৭–এর পর থেকে এই ভূখণ্ডে যতোগুলো প্রতিবাদ–সংগ্রামের ঘটনা ঘটেছে, বঙ্গবন্ধু সেগুলোর প্রতিটির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি নিজেকে ছাত্র সংগ্রাম বা শিক্ষা সংগ্রামের ঘটনাপ্রবাহ থেকে কখনোই দূরে রাখেননি।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম বলেন, একজন রাজনীতিক নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন। যেসব উপাদানের জন্য মুজিব কোনোভাবেই সাধারণ আর দশজন মানুষের চেয়ে আলাদা ছিলেন না বা বিশিষ্ট ছিলেন না, সে কারণগুলির জন্যই ষড়যন্ত্রীরা তাঁকে হত্যা করেছিল।
আজকের কর্মসূচি : আজ শুক্রবাবের বিষয় ‘বঙ্গবন্ধু ও ফোকলোর ভাবনা’। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন চবি বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী। সভাপতিত্ব করবেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল কাসেম। আলোচক থাকবেন প্রফেসর ড. আহমেদ মাওলা, কবি রিজোয়ান মাহমুদ, প্রাবন্ধিক শাকিল আহমদ, লোক–গবেষক নাসির উদ্দিন হায়দার। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।