চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল যুদ্ধাপরাধ এবং স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকার কারণে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় আসার পর জামায়াত আবার বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়। পরবর্তীতে বিএনপি সরকার যুদ্ধাপরাধী, রাজাকারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের ব্যবস্থা করে দেন, যা দেশের সাধারণ মানুষ সহজভাবে গ্রহণ করেননি।
গতকাল বুধবার কর্নফুলী উপজেলার ক্রসিং চত্বরে জামাত–বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সহিংসতার প্রতিবাদে এবং জামায়াত–শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, যে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে সেই গণহত্যার সাথে যারা জড়িত, তাদের তো গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না। স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের কোন রাজনৈতিক দল থাকবে পারে না। অতএব জামায়াতের নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে আমরা স্বাগত জানাই।
তিনি সমপ্রতি কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেসব সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে তারজন্য বিএনপি–জামায়াতকে দায়ী করেন এবং তাদের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি প্রতিরোধ করার জন্য আহবান জানান।
কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান সোলায়মান তালুকদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হায়দার আলী রনি, দিদারুল ইসলাম চৌধুরী, রফিক আহমদ, আমির আহমদ, আবদুল মান্নান খান, কামাল আহমদ, আবদুল মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার হাসমত আলী, দীল আহমদ শাহীন, জালাল আহমদ, সেলিম হক, শাহিদুর রহমান শাহেদ, মুরিদুল আলম মুরাদ, বেলাল হোসেন মিঠু, আবিদ হাসান, নুরুল আমিন, সাইফুল হাসান টিটু, অমল রুদ্র, আবদুল হান্নান লিটন, আবু সাদাত সায়েম, খালেদ ইবনে হাবীব ছোটন, আ ন ম হাছান চৌধুরী, ফোরক আহমদ, মাঈনুল ইসলাম পুতুল প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।