উন্নত বিশ্বের বিমানবন্দরগুলোর আদলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও যাত্রীদের সহায়তার জন্য বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। ঢাকা শাহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেশ কিছুদিন আগেই এই সার্ভিস চালু করা হয়েছিল। ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ নামের এই সুবিধায় একজন বিমানযাত্রী বিভিন্ন ধরনের সেবা কিনতে পারবেন। আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এই সার্ভিস উদ্বোধন করা হবে।
উন্নতদেশগুলোর বিমানবন্দরে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিমান যাত্রীদের সহায়তার জন্য মিট অ্যান্ড গ্রিট নামের সার্ভিস প্রদান করে থাকে। এই সার্ভিসের আওতায় একজন বিমানযাত্রী বিভিন্ন ধরনের সেবা কিনতে পারেন। বিশেষ করে বয়স্ক, অসুস্থ এবং একা ট্রাভেল করার সময় যাত্রীদের নানাভাবে কষ্ট পেতে হয়। মিট অ্যান্ড গ্রিট সার্ভিস যাত্রীদের এসব কষ্ট লাঘব করে থাকে। অনলাইনে বুকিং দেয়ার মাধ্যমে তারা বিমানবন্দরে পৌঁছার পর তাদের লাগেজ কালেকশন, তা যথাস্থানে পৌঁছে দেয়া, গাড়ি ঠিক করে দেয়া, চেক–ইন করিয়ে বোর্ডিং কার্ড করিয়ে দেয়া, ইমিগ্রেশন ডেস্কসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুসরণ করতে যাত্রীদের সহায়তা করা কিংবা বিদেশ যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় সহায়তা করে থাকে। যে যাত্রী যতটুকু সেবা কিনবেন ঠিক ততটুকু সেবা তিনি পাবেন।
বাংলাদেশে এই সেবা প্রদানের সিস্টেম আগে থেকে ছিল না। ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেশ কিছুদিন আগে মিট অ্যান্ড গ্রিট সার্ভিস চালু করা হয়। এই সার্ভিসের আওতায় ঢাকার বিমানযাত্রীরা নানা ধরনের সেবা পেয়ে আসছেন। অবশেষে আজ থেকে চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও এই সেবা চালু হচ্ছে। বিমানবন্দর চালু থাকা অবস্থায় সপ্তাহের ৭ দিনই এই সার্ভিস পাওয়া যাবে।
হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, উন্নত বিশ্বের আদলে চট্টগ্রামে মিট অ্যান্ড গ্রিট চালু হচ্ছে। এর মাধ্যমে যাত্রীরা প্রয়োজনীয় সেবা কিনতে পাবেন এবং সরকারও রাজস্ব পাবে।