সরবরাহ সংকটের অজুহাতে আবারও বাড়ছে ডিমের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা ডিমের ডজন বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযানে নামে। অভিযান যতক্ষণ চলে, দামও ঠিক থাকে ততক্ষণ। এরপর আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসে।
পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বাজারে বেশিরভাগ ডিমের সরবরাহ হয় টাঙ্গাইল থেকে। সরবরাহ টাঙ্গাইল থেকে হলেও বাজারের নিয়ন্ত্রণ করে ঢাকার তেজগাঁও সমিতি। তারা সারা দেশের ব্যবসায়ীদের কত টাকা দরে ডিম বিক্রি করবেন, সেটি জানিয়ে দেন। সেই মতে বাজার নিয়ন্ত্রিত হয়। এছাড়া বর্তমানে কুমিল্লার দাউদকান্দি, চাঁদপুর, টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কোল্ডস্টোরেজে ডিম সংরক্ষণ করা হচ্ছে। পরে ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে সেই ডিম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে পাইকারিতে ১০০ পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১৪০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ১১ টাকা ৪০ পয়সা। এদিকে খুচরা বাজারে গতকাল সেই ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৫৫ টাকায়। প্রতি পিসের দাম পড়ছে ১২ টাকা ৯১ পয়সা। অর্থাৎ পাইকারির তুলনায় প্রতি পিস ডিম ১ টাকা ৫১ পয়সা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
পাহাড়তলী এলাকার একজন পাইকারি ডিম ব্যবসায়ী বলেন, ডিম কত দামে বিক্রি করতে হবে, সেটি আমাদের মোবাইলে এসএমএসে জানিয়ে দেন ঢাকার ব্যবসায়ীরা। সেই দামে আমরা ডিম বিক্রি করি। অপরদিকে পাইকারি বাজারের খোঁজ নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরাও একইভাবে দাম বাড়িয়ে দেন।
দামপাড়া এলাকার খুচরা ডিম বিক্রেতা মোহাম্মদ রানা বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে প্রয়োজন মতো ডিম এনে বিক্রি করি। পাইকারি বাজারে ডিমের দাম উঠানামার সাথে খুচরা বাজারে ডিমের বাড়া কমার কোনো সম্পর্ক নেই।
চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস শুক্কুর দৈনিক আজাদীকে বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে ডিমের সরবরাহ কিছুটা কম। তাই দাম কিছুটা বাড়তি এখন। তবে ডিমের দাম কিছুদিন আগে একশত পিসে ৪০ টাকা পর্যন্ত ছিল। সরবরাহ বাড়লে আবারও দাম কমে যাবে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, বাজারে প্রতিটি পণ্যই নিয়ে চলছে সিন্ডিকেট। ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক পণ্য নিয়ে খেলছেন। এর সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে ডিম। প্রশাসনের উচিত ডিমের বাজারে নিয়মিত মনিটরিং করা।