জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত গণজাগরণ মঞ্চের

| বুধবার , ৩১ জুলাই, ২০২৪ at ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। গতকাল মঙ্গলবার গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের সই করা বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নজিরবিহীন সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও নৃশংসতা চালানোর অভিযোগে সরকার নির্বাহী আদেশে আজ বুধবারের মধ্যে জামায়াতশিবিরকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে বলে গতকাল আইনমন্ত্রী বলেছেন। সোমবার ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে এ বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হওয়ার পরই আইনমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা নির্দেশ দেন।

বিবৃতিতে ইমরান এইচ সরকার বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াতশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া গণজাগরণ মঞ্চের ছয় দফা দাবির মধ্যে এটি ছিল অন্যতম। দীর্ঘ দশ বছরের অধিক সময় পর এই দাবি মেনে নিয়ে উদ্যোগ গ্র্রহণ করার শুভবুদ্ধি যে সরকারের উদয় হয়েছে, তাকে স্বাগত জানাচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চ। কিন্তু সরকারের এই দীর্ঘ কালক্ষেপণ দেশকে অরাজকতার যে প্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে, তার ভুক্তভোগী হচ্ছেন জনগণ।

ইমরানের ভাষ্য, এটা সত্যিই আশ্চর্যের যে, আদালতের রায়সহ গণজাগরণ মঞ্চের সপ্রমাণ দাবির পরও জামায়াতশিবিরের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদের বীভৎসতা বুঝতে সরকারের এত দীর্ঘ সময় লাগল। উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে যখন এই ‘যুদ্ধাপরাধী সংগঠন’টির নিবন্ধন বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন, তখনই তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে তা আরও কার্যকর হতো। গণজাগরণ মঞ্চের দাবি উত্থাপনের দীর্ঘ ১০ বছর পর জামায়াতশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও দেশের নানা স্তরে এমনকি খোদ সরকারি দলের মধ্যেও জামায়াতশিবির ও তাদের জঙ্গিমনস্কতার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাস দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি করছে গণজাগরণ মঞ্চ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ার সভাপতি সাগর সা. সম্পাদক
পরবর্তী নিবন্ধটানা তৃতীয় দিনেও দরপতন