কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার মধ্যে বাংলাদেশে বন্ধ থাকা ফেসবুক কবে চালু হবে তা জানা যাবে আজ বুধবার। এদিন বেলা ১১টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের পাশাপাশি ইউটিউব ও টিকটকের প্রতিনিধিদের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে এসে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা রয়েছে। এরপরই দেশে ১৩ দিন ধরে বন্ধ থাকা ফেসবুক খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠক শেষে তিনি বলেন, আগামীকালকে (আজ) সকাল ১১টার পর জানাতে পারব যে, ফেসবুক কবে বাংলাদেশে চালু হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
পলক বলেন, বুধবার সকাল ৯টা, সকাল ১০টা এবং সকাল ১১টায় এই তিনটা প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি। তাই তাদের ব্যাখ্যা যদি পাই তাহলে বিশ্লেষণ করে এবং যদি নাও পাই তাহলে বসে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত জানাব।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চার মন্ত্রী ও তিনজন প্রতিমন্ত্রী তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন। সেখানে ছিলেন টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও। এ বৈঠক শেষে পলক বলেন, আমরা টিকটক, ইউটিউব এবং ফেসবুককে তাদের একটা ব্যাখ্যা মৌখিকভাবে ও লিখিতভাবে উত্তর দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। টিকটক আমাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে যে, তারা মৌখিকভাবে এবং লিখিতভাবে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে চায়। আর আমার জানামতে ফেসবুক ও ইউটিউব এখন পর্যন্ত বিটিআরসিতে কোনো উত্তর দেয়নি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে গুজব ও অপপ্রচার বন্ধে কোম্পানিগুলোকে ব্যবস্থা নিতে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল বলে খবরে এসেছে। এরপরও পদক্ষেপ না নেওয়ায় এসব কোম্পানির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার কথা এর আগে সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক। কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং সেখান থেকে শুরু হওয়া সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনার কারণে ১৮ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হওয়ার দিন থেকে বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ রয়েছে। পাঁচ দিন পর ব্রডব্যান্ড এবং ১০ দিন পর মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক ও টিকটক বন্ধ রাখা হয়েছে।