বই হোক অবসরের সঙ্গী

বিভাস গুহ | সোমবার , ২২ জুলাই, ২০২৪ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

মানুষের জ্ঞানের পরিধিকে বিস্তৃত করতে চাইলে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। বই হচ্ছে জ্ঞানের ভাণ্ডার। হাজার হাজার বছরের সমাজ সভ্যতা সংস্কৃতি শিক্ষা আপন বক্ষে ধারণ করে নিঃশব্দে নীরবে বয়ে চলা মহাসাগরের নাম বই। যে সাগরে ডুব দিলে কেবলই জ্ঞানামৃত আস্বাদন করা যায়। নিজেকে সমৃদ্ধ করা যায়। আপন আলয়ের সীমাবদ্ধ গণ্ডি থেকে বের হয়ে বিশ্ব আলয়ের অনন্ত অসীমে বিচরণ করা যায়। বই শুধু জ্ঞানের ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করে তা নয় বই মানুষের হৃদয় সাম্রাজ্যকে সমৃদ্ধ করে প্রাচুর্যতায় ভরে তোলে। যা কখনও কোনোদিন ফুরিয়ে যাবার সম্ভাবনা নেই বরঞ্চ দিন দিন ঐশ্বর্যশালী করে তুলে নিজেকে।

বই পড়ে মানুষের হৃদয়ে যে অনুভূতির অনুরণন জাগ্রত হয় সে অনুভূতির ছোঁয়া ভাবরাজ্যের যেমন বাসিন্দা করে নিজেকে ঠিক তেমনি বাস্তব জগতের সুখ দুঃখ হাসি কান্না আনন্দ বেদনায় ছুটে চলা প্রাত্যহিক জীবনের না বলা কথাগুলো আপন করে নেয় সহজে। হয়ত কোনো এক চরিত্রে নিজেকে খুঁজে পাওয়া যায়। প্রত্যেক মানুষের জীবনে অবসর রয়েছে আর সে অবসরকে আনন্দময় করে তোলার জন্য বইকে সঙ্গী করা প্রয়োজন। পৃথিবীতে যতগুলো সুঅভ্যাস রয়েছে তার মধ্যে বই পড়াটা অন্যতম। তাই এ সুঅভ্যাসটা নিজের পাশাপাশি পরিবারের সকল সদস্যদের মাঝে যাতে গড়ে উঠে সে চেষ্টা করা দরকার। পরিবারের অভিভাবকের উচিত প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত কিছুটা সময় সকল সদস্যকে নিয়ে বই নিয়ে পড়তে বসার পরিবেশ তৈরি করা। বইমেলায় নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গিয়ে সবার পছন্দমত বই কেনার সুযোগ দেয়া। প্রতিদিন কত টাকা কতভাবে ব্যয় হয়ে যায় তার হিসাব অনেকের থাকে না কিন্তু বই কিনলে সেটা ব্যয় নয় বরঞ্চ অর্জন। জ্ঞান অর্জন। সামান্য কিছু টাকা দিয়ে অনেক কিছু অর্জন। যে অর্জন নিজেকে নিজের পরিবারকে সমৃদ্ধ করবে ঐশ্বর্যশালী করবে জ্ঞানের দিক দিয়ে। তাই বই পড়ুন জ্ঞানী হোন বই কিনুন জ্ঞান অর্জন করুন, বই উপহার দিন জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমণীন্দ্রলাল বসু : লেখক ও ঔপন্যাসিক
পরবর্তী নিবন্ধআমি শ্রমিক