তিন প্রশ্ন নিয়ে ডিবিতে সোহেল তাজ

| মঙ্গলবার , ৩০ জুলাই, ২০২৪ at ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ

তিনটি প্রশ্ন নিয়ে ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ থাকা কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ। শিক্ষার্থীদের যেন আর কোনো গুলি করা না হয়, সেই দাবিও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল সোমবার বিকাল বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা কার্যালয়ে যান রাজনীতি থেকে দূরে থাকা সোহেল তাজ। সোয়া ৬টার দিকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ডিবির ফটকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে গোয়েন্দা কার্যালয়ে এক ঘণ্টা অবস্থান করলেও সেখানে থাকা কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি। খবর বিডিনিউজের।

সাংবাদিকদেরকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন ‘আমি ডিবি প্রধানের কাছে তিনটা প্রশ্ন নিয়ে এসেছিলাম। আমার প্রথম প্রশ্ন ছিল ‘এই ছয়জন সমন্বয়কারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাকি সেইফ কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে?’ দ্বিতীয় প্রশ্ন ‘যদি তারা গ্রেপ্তার হয়ে থাকেন তাহলে আমার কোনো প্রশ্ন নেই, দাবি নেই। তারা যদি সেইফ কাস্টডিতে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে আমি দেখা করতে চাই। আমার তৃতীয় প্রশ্ন ছিল, তাদেরকে কখন সেইফ কাস্টডি থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।

সোহেল তাজ জানান, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ তাকে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, এই ছয় সমন্বয়কারী ‘তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন’, তাই তাদেরকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। হারুনকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তখন প্রশ্ন রাখেন, ‘আপনারা কীভাবে বুঝলেন যে তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, তারা কী আপনাদের জানিয়েছিল অথবা রিকোয়েস্ট করেছিল?’ সোহেল তাজের ভাষ্য, হারুন তাকে বলেছেন, সমন্বয়করা ডিবিকে কিছু জানায়নি। ডিবি বিষয়টি বুঝতে পারে ‘নিজস্ব মনিটরিং থেকে’। ‘যেহেতু তারা সেইফ কাস্টডিতে আছে তাই আমি অনুরোধ করলাম আমি তাদের সঙ্গে দেখা করতে চাই’, বলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে এই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তাকে বলা হয়েছে, “দেখা করতে চাইলে ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের’ অনুমতি লাগবে।, সমন্বয়কদের মুক্তির দিনক্ষণ নিয়ে প্রশ্নে সোহেল তাজকে বলা হয়েছে, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যখন নির্দেশনা দেবেন, তখনই তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিবৃতি দিতে জোর করা হয়নি, পরিবারও দেখেছে তারা ভালো আছে : হারুন
পরবর্তী নিবন্ধচবির শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার পরিবারের পাশে পেয়ারুল