এবারের প্যারিস অলিম্পিকে পাঁচজন ক্রীড়াবিদ অংশ নিচ্ছে। যাদের মধ্যে একজন সরাসরি আর বাকি চারজন ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে। আর সে ‘ওয়াইল্ড কার্ড’ নিয়ে প্যারিস অলিম্পিকে খেলতে যাওয়া বাংলাদেশের শুটার রবিউল ইসলাম বাছাইয়ে বিবর্ণ পারফরম্যান্সে হয়েছেন ৪৯ প্রতিযোগীর মধ্যে ৪৩তম। তার পেছনে ছিলেন আর মাত্র ৬ জন। প্যারিস অলিম্পিকের শুটিংয়ে একটুও আলো ছড়াতে পারলেন না রবিউল ইসলাম। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের বাছাই থেকে ছিটকে পড়লেন বাংলাদেশের এই শুটার। শালেলো শুটিং কমপ্লেক্সে গতকাল রোববার বাছাই পর্বে ৬২৪ দশমিক ২ স্কোর করে ৪৯ প্রতিযোগীর মধ্যে ৪৩তম হন রবিউল ইসলাম। পদকের লড়াইয়ের ওঠা আট প্রতিযোগীর মধ্যে সবশেষ জন ক্রোয়েশিয়ার গোরসা পেতার। তার স্কোর ৬২৯ দশমিক ৮।
শুটিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন কমনওয়েলথ গেমসে। ১৯৯০ সালে অকল্যান্ডের আসরে বাংলাদেশ স্বর্ণ পদক জিতেছিল কদিন আগে না ফেরার দেশে পাড়ি জমানো আতিকুর রহমান ও আব্দুর সাত্তার নিনির হাত ধরে । এরপর ২০০২ সালে ম্যানচেস্টারের আসরে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে আসিফ হোসেন খান বাংলাদেশকে জিতিয়েছিলেন সোনা। এছাড়া আব্দুল্লাহ হেল বাকি ও শাকিল আহমেদ জিতেছিলেন রৌপ্য পদক। এরপর চট্টগ্রামের মেয়ে সাদিয়া সুলতানা জিতেছিলেন কমনওয়েলথ গেমসে সব শেষ স্বর্ণ পদকটি। কিন্তু অলিম্পিকে বাংলাদেশের কোনো শুটার আজ অবধি পদকের লড়াইয়ে উঠতে পারেননি। ২০১৬ সালে রিও ডি জেনেরি অলিম্পিকে আবদুল্লা হেল বাকি ৬২১ দশমিক ১ স্কোর গড়ে ৫০ জনের মধ্যে ২৫ তম হয়েছিলেন। টোকিও অলিম্পিকের গত আসরেও এই ইভেন্টে খেলেছিলেন বাকি। ৬১৯ দশমিক ৮ স্কোর গড়ে ৪৭ জনের মধ্যে ৪১তম হয়ে ছিটকে যান বাছাই পর্ব থেকেই। গত জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় মাত্র ০ দশমিক ৩ পয়েন্টের জন্য সরাসরি অলিম্পিকে খেলার টিকেট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন রবিউল ইসলাম। তবে তিনি সুযোগ পান ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার সুবাদে। কিন্তু বাংলাদেশের শুটারদের সেরা আটে থাকতে না পারার হতাশা ঘুচল না এবারও। আরো একবার ব্যর্থ হলো বাংলাদেশের শুটার। বরাবরের মত এবারেও অলিম্পিকে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের অংশ গ্রহণটা কেবলই অংশগ্রহণের মধ্যেই যেন থেকে যাচ্ছে।