দেশজুড়ে চলছে কারফিউ। বর্তমানে দিনের বেশকিছুটা সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকলেও নিত্যপণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। যার ফলে দেশের সাধারণ মানুষ বেশ কষ্টে দিনযাপন করছে। ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাতে করে ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করার সুযোগ পেয়েছে। এখন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণ জিগ্যেস করলেই ব্যবসায়ীরা উচ্চ কণ্ঠে উত্তর দেয় গাড়ি পাওয়া যায় না পণ্যে পরিবহনের জন্য। পেলেও দ্বিগুণ ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী নিত্যপণ্য পরিবহনের গাড়িগুলোকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিলেও ব্যবসায়ীদের মূনাফা করার হার কমেনি। এমনিতেই এদেশে কোনো একটা ঘটনাকে পুঁজি করে এদেশের ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির করে তোলার স্বাভাবিক একটি প্রবণতা রয়েছে তারমধ্যে কারফিউ যুক্ত হওয়ায় মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টিকে তারা জনগণের কাছে আরো যৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করতে চাইছে। মূলত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে মাত্র দুএকদিন দেশজুড়ে গাড়ি পরিপূর্ণভাবে না চললেও নিত্যপণ্যের মূল্য এতো ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কথা না। সাধারণভাবে চিন্তা করলে জেলা পর্যায়ে একজন আড়তদার কিংবা ব্যবসায়ী দু একদিনের জন্য কোনো নিত্যপণ্য ক্রয় করে আনে না, তারা কমপক্ষে একমাস কিংবা পনের দিনের জন্য তাদের পণ্য সামগ্রী এনে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করে। তাহলে এতো তাড়াতাড়ি পণ্য সমূহের দাম বাড়ার কথা নয়। তারপরও নিত্যপণ্যের দাম সমূহ বাজারে বাড়তিই রয়েছে। এমন পরিস্থিতি বিরাজ করলে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে বৈ কমবে না। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে যতো দ্রুত সম্ভব সরকারকে বেরিয়ে আসতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জনমনে শান্তি ফিরে আসবে এবং ব্যবসায়ীরাও সুযোগ নিতে পারবে না। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা খুব দ্রুতই দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং নিত্যপণ্যের মূল্যও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে চলে আসবে।