বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন নতুন কোন ঘটনা নয়। বায়ান্ন থেকে একাত্তর এবং শৈরাচার আন্দোলন সব ক্ষেত্রে ছাত্ররা অগ্রণীভূমিকা রেখে এসেছে। সম্প্রতি ২০২৪ এর জুলাই থেকে যে কোটা সংস্কার আন্দোলন সংঘটিত হলো তাতে ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ মিছিল মিটিংয়ে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু যখন দুষ্কৃতিকারীরা যোগ দিল তখন থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও মূল্যবান সম্পদগুলো একে একে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড দ্বারা ধ্বংস করা হলো এবং দেশকে মুহূর্তে অচল করে দেওয়া হলো। তার দায় কে বা কারা নেবে? এই সুযোগ সন্ধানী দুষ্কৃতকারীদের কারণে দেশ এক পা এগুলে পাঁচ পা পিছিয়ে পড়ছে। এদের চিহ্নিত করা সরকারের জন্য অতীব জরুরি।
বিশেষ করে ন্যায্য অধিকার নিয়ে দাবী দাওয়া পেশ করার সাংবিধানিকভাবে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার আছে। সভা – সমাবেশ, মিটিং মিছিল করারও অধিকার আছে। সুতরাং, সরকারের উচিত ছিল সংঘর্ষে জড়িত হওয়ার আগে আন্দোলনকারীদের ন্যায্য দাবী দাওয়ার প্রতি বিচার বিশ্লেষণ করা। যুগ যুগ ধরে ছাত্ররা ন্যায়ের পক্ষে আন্দোলন করে শত্রুর কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। আজ সুযোগে ঐ আন্দোলনরত ছাত্রদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে যে শত্রুরা দেশের এতো বড় ক্ষতি করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। পরিশেষে ছাত্রদের আন্দোলনকে মূল্যায়ন করে সরকার যে মেধাভিত্তিক কোটা সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তার জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাই।
করুণা আচার্য
চট্টগ্রাম