ইসরায়েলি বাহিনীর গোলার আঘাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান শহর খান ইউনিসের ইয়াসমিন আল–দারদাসি নামের এক নারী হারিয়েছেন তার মাথার ওপরের ছাদ। অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে পুরো একটি দিন ও রাত রাস্তার পাশে গাছের নিচে কাটানোর পর তিনি আশ্রয় নিয়েছেন শহরের একটি পরিত্যক্ত কারাগারে, তবে তার জানা নেই সেখানেও কতদিন নিরাপদে থাকা যাবে। খবর বিডিনিউজের।
রয়টার্স লিখেছে, দারদাসির মত বোমা হামলায় ঘরবাড়ি হারানো শতাধিক মানুষ এখন আশ্রয় নিয়েছেন একসময় চোর, খুনিসহ কুখ্যাত অপরাধীদের জন্য তৈরি করা ওই কেন্দ্রীয় সংশোধন ও পুনর্বাসনকেন্দ্রে। শহরের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও আর তিল ধারণের জায়গা নেই। তাই কয়েদিদের থাকার এই জায়গাই এখন শেষ আশ্রয় হয়ে উঠেছে ঘরবাড়ি হারানো মানুষদের। গাজার উত্তরাঞ্চলে অভিযান চালানোর সময় সেখানকার বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। প্রাণে বাঁচতে তাদের অনেকেই আশ্রয় নিয়েছিলেন খান ইউনিসে। গত সপ্তাহের মাঝামাঝিতে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরটি ঘিরে ফেলার কথা জানায় ইসরায়েলি সেনারা। এরপর সেখানকার পাঁচ লাখ বাসিন্দাকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় বোমাবর্ষণ, বোমার আঘাত থেকে রেহাই মেলেনি কিছু শরণার্থী তাঁবুরও। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে আসা ভিডিওতে দেখা গেছে, বাস্তুচ্যুত বহু মানুষ পরিবারের আহত সদস্যদের নিয়ে বসে আছেন রাস্তার পাশে। গাড়ি, ট্রাক বা পিকআপে করে যে যেভাবে পেরেছেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে দূরে সরে যাচ্ছেন। এছাড়া লোকজনকে হেঁটেও এলাকা ছাড়তে দেখা গেছে।