অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে চাই কার্যকরী উদ্যোগ

| শনিবার , ২৭ জুলাই, ২০২৪ at ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি দেশের অর্থনীতিতে চলছে চরম সংকট। কোভিড ১৯ ও পরবর্তীতে রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধের ফলে গোটা বিশ্বের অর্থনীতির যখন নড়বড়ে অবস্থা তখন বাংলাদেশ ও এর থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। দিন যত গড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবনে ততই ঘনিয়ে আসছে দুর্ভোগের তীব্রতা। রাশিয়াইউক্রেনের যুদ্ধ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলসহ দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের মতে, দেশের অর্থনীতিতে চার ধরনের বিচ্যুতি রয়েছে। যেমনব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ না হওয়া, কর সংগ্রহে দুর্বলতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের অভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বৈষম্য। দেশের বর্তমান অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় অর্থনীতিবিদগণ জরুরি ভিত্তিতে ৪টি পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমত, ব্যাংকিং চ্যানেলে বা এলসির মাধ্যমে টাকা পাচার বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। তৃতীয় ও চতুর্থত, বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় রোধ এবং খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। বর্তমান বিশ্বে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা সরকারের এককভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। দেশের শিল্পখাতে জ্বালানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশ সরকার বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় ইতোমধ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা ও সমন্বিত উদ্যোগ না থাকায় সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে আসছে না। অতএব সংকটকালীন এহেন পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক সংকট নিরসনে সরকারের উচিত সংকট থেকে উত্তোরণের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

মাহমুদুল হক হাসান, চট্টগ্রাম

পূর্ববর্তী নিবন্ধএ পি জে আবদুল কালাম: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব
পরবর্তী নিবন্ধঅঝরে ঝরবে