চীন সীমান্তের কাছে মিয়ানমার জান্তার প্রধান একটি আঞ্চলিক সামরিক সদরদপ্তর দখলে নেওয়ার দাবি করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)। এ দাবি সত্য হলে মিয়ানমারে বিদ্রোহী তৎপরতা সামাল দিতে হিমশিম ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের জন্য এটিই হতে পারে কয়েকবছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা। এমএনডিএএ বলেছে, তারা উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের ল্যাশিও নগরী দখল করেছে। খবর বিডিনিউজের।
২৩ দিন ধরে সরকারি বাহিনীর সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ের পর চীন সীমান্ত থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরের রাজ্যটিতে তারা এই সাফল্য পেল। এমএনডিএএ–এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের আর্মি চূড়ান্ত জয় পেয়েছে। এখন অবশিষ্ট শত্রু সেনাদের সরানো হচ্ছে। নগরীটি এখন সম্পূর্ণ মুক্ত ঘোষণা করা হল। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির মুখপাত্র এই বিবৃতি স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে জনগণকে শান্ত থাকা এবং নগরীতে তাদের প্রশাসনকে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমএনডিএএ’র এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মুখপাত্রের কাছ থেকেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে অনলাইন পত্রিকা মিয়ানমার নাউ এমএনডিএএ’র পাশাপাশি লড়াইরত আরেকটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কমান্ডারের উদ্ধৃতি দিয়ে ল্যাশিও নগরীর আঞ্চলিক সামরিক কমান্ড এর সদরদপ্তর বিদ্রোহীদের দখলে চলে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছে। মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ে আসা কয়েকটি জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে আছে মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)। এটি জান্তা–বিরোধী ত্রিপক্ষীয় জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স এর সদস্য। সমপ্রতি চীনের নেওয়া যুদ্ধবিরতির একটি উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার পর এমএনডিএএ নতুন করে লড়াই শুরু করে। চীন তাদের সীমান্তের কাছে লড়াই এবং ব্যবসা–বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন।