আল কুরআনের আলোকে নবীজির শ্রেষ্ঠত্ব:
আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, আর আমি আপনার স্মরণ (মর্যাদা) সমুন্নত করেছি। (সূরা: ইনশিরাহ, আয়াত: ০৪) নবীজির উম্মতের শ্রেষ্ঠত্ব প্রসঙ্গে এরশাদ হয়েছে তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, তোমাদেরকে মানুষের কল্যাণের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ দিবে অসৎ কাজের নিষেধ করবে।
হাদীস শরীফের আলোকে নবীজির শ্রেষ্ঠত্ব ও উম্মতের বৈশিষ্ট্য: হযরত আলী ইবনে আবি তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমাকে এমন সব দান করা হয়েছে যা, পূর্ববর্তী নবীগণ (আলায়হিস্ সালাম)-এর কাউকে দান করা হয়নি। আমরা বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তা–কী? নবীজি বললেন, ১. শত্রুপক্ষের অন্তরে ভীতির সৃষ্টি করে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে। ২. আমাকে ভূমন্ডলের (সকল প্রকার সম্পদ রাজির) চাবি দেয়া হয়েছে। ৩. আমার নাম আহমদ রাখা হয়েছে, ৪. মাটিকে আমার জন্য পবিত্র করা হয়েছে, ৫. আমার উম্মতকে (সকল নবীগণের উম্মতের উপর) শ্রেষ্ঠ উম্মত করা হয়েছে। (ইবনে আবি শায়বা, আহমদ, হাদীস নং ৩১৬৪৭, আহমদ, আল মুসনাদ, হাদীস নং–১৩৬১)
মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর প্রিয় হাবীব রাহমাতুলল্লিল আলামীন সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামকে সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদায় সমুন্নত করেছেন। হযরত আদম আলায়হিস্ সালাম থেকে হযরত ঈসা আলায়হিস্ সালাম পর্যন্ত সমগ্র নবী ও রসুল আলায়হিস্ সালামকে যতসব গুণাবলী দান করেছেন তা এককভাবে পূর্ণমাত্রায় প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম–এর পবিত্র সত্তায় দান করেছেন। নবীজির সত্তায় কোন প্রকার অপূর্ণতা, অক্ষমতা, দুর্বলতা ত্রুটি বিচ্যুতি কল্পনা করা, ধারণা করা চিন্তা–চেতনা ও আক্বিদা বিশ্বাসে লালন করা কুফরীর নামান্তর। বর্ণিত হাদীসে রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের শ্রেষ্ঠত্বের অসংখ্য দিকগুলোর পাঁচটি গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে। পঞ্চম নম্বরে উল্লেখিত বিষয়টি শিরোনামে বর্ণিত বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক। উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এ বিষয়টি গৌরবের ও আনন্দের যে, অন্য কোন সম্মানিত নবীর উম্মতদেরকে শ্রেষ্ঠ উম্মতের অভিধায় ভূষিত করা হয়নি, অনন্ত অফুরন্ত শোকরিয়া কৃতজ্ঞতা পরম করুণাময় মহান আল্লাহর দরবারে যিনি তাঁর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের ওসীলায় নবীজির উম্মতকে শ্রেষ্ঠ উম্মত বলেছেন। মহান আল্লাহ্ কর্তৃক নবীজির উম্মতের প্রতি শ্রেষ্ঠত্বের এ স্বীকৃতি পবিত্র কুরআনে বিঘোষিত হয়েছে। এরশাদ হয়েছে ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত’ ইবনে মাযাহ্ শরীফে হযরত আবু হানীফা (রহ.) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে এরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই এ উম্মতের উপর আল্লাহর বিশেষ রহমত অবতীর্ণ হয়েছে।”
উম্মত কর্তৃক নবীজির দিদার লাভের প্রত্যাশা : ঈমানের সাথে যারা নবীজির সাক্ষাৎ করেছেন ঈমানের উপর ইন্তেকাল করেছেন, তাঁরা সৌভাগ্যবান সম্মানিত সাহাবা। যারা পূতঃপবিত্র চরিত্রের অধিকারী, যাঁরা সত্যের মাপকাটি। যাঁদের আদর্শ অনুসরণ ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পাথেয়। যাঁদের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন ঈমানের পরিচায়ক। যাঁদের ব্যাপারে কটূক্তি সমালোচনা, অশ্রদ্ধা ও অসম্মান মুনাফিক্বীর পরিচায়ক। তাঁরা আল্লাহর দ্বীন ও নবীজির আদর্শকে বুকে ধারণ করে ইসলামের বিজয়ের জন্য কুফরী শক্তিকে পদানত করার জন্য নিজেদের জানমাল পরিবার, পরিজন, সবকিছু বিসর্জন দিয়েছেন। দ্বীনের জন্য সকল প্রকার প্রতিকুলতা অতিক্রম করে সর্বোচ্চ কুরবানী পেশ করেছেন, দুনিয়াতে যাঁরা বেহেশতের সুসংবাদ প্রাপ্ত হয়ে পরবর্তী উম্মতদের জন্য অনুসরণীয় মডেল হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়েছেন যাঁদের মর্যাদা ও সন্তুষ্টির বর্ণনা পবিত্র কুরআনে বিঘোষিত হয়েছে। “আল্লাহ্ তাদের উপর সন্তুষ্ট তারাও আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট।” তাঁদের আদর্শের অনুসারী পরবর্তীতে তাবেঈন, তবে তাবেঈন, মুজতাহিদ ইমামগণ, তরীক্বতের মহান মাশায়েখ এজাম, আউলিয়ায়ে কেরাম, বুজুর্গানে দ্বীন, হক্কানী রব্বানী ওলামায়ে কেরাম, সত্যান্বেষী ঈমানদার মুসলমানগণ সর্বকালে সর্বযুগে দ্বীনের প্রচার প্রসার, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বিদা দর্শনকে বিস্তার, মুসলিম উম্মাহর ঈমান আক্বিদার সংরক্ষণ বাতিল মতাদর্শীদের স্বরূপ উম্মোচন কুরআন সুন্নাহর অপব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তি নিরসনে নবীজির উম্মতের সত্যপন্থী সুন্নী মুসলমানরা নিজেদের জান মালের কুরবানী দিয়েছেন, ইসলামকে অপব্যাখ্যা ও বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করেছেন। ইসলামের সঠিক রূপরেখা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বিদা দর্শনকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের ত্যাগ ও কুরবানীর একমাত্র লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের দিদার ও সন্তুষ্টি অর্জন করা।
আমার উম্মতের বড় দলকে অনুসরণ করো : যুগে যুগে একশ্রেণির পথভ্রষ্ট উম্মতরা হেদায়ত থেকে বিচ্যুৎ হয়ে গোমরাহীতে নিমজ্জিত হয়েছে, নিজেরাও পথভ্রষ্ট হয়েছে অন্যদেরও পথভ্রষ্ট করেছে। আবহমান কাল ধরে উম্মতের একটি জামায়াত সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল কিয়ামত পর্যন্ত সত্যের উপর অবিচল থাকবে, সত্যের পথে ন্যায়ের পথে সিরাতুল মুস্তাক্বীমের পথে তারা মানুষকে আহ্বান করবে। কুরআন–সুন্নাহ এজমা কিয়াসের সমষ্টি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বিদা বিশ্বাস চর্চা ও অনুসরণে তারা সচেষ্ট হবেন, অন্যদেরকে ও এ আক্বিদার প্রতি আকৃষ্ট ও অনুপ্রাণিত করবেন, সাহাবায়ে কেরাম, আহলে বায়তে রসূল ও আউলিয়ায়ে কেরামদের মতাদর্শের প্রতি তাঁদের দাওয়াতী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তারা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হবেনা, মিথ্যাচার শঠতা কপটতা ও শরীয়তবিরোধী কর্মকান্ডে তাঁরা সম্পৃক্ত হবেনা, সত্য পথে চলা, সত্য কথা বলা, সত্যের দিকে আহ্বান করা হবে তাঁদের নীতি–আদর্শ। হুব্বে রসূল তথা নবী প্রেমই হবে তাদের নাজাতের একমাত্র অবলম্বন। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন আল্লাহ্ তা‘আলা কখনো এ উম্মতকে গোমরাহীর উপর একত্রিত করবেন না। তিনি আরো এরশাদ করেন, সংঘবদ্ধ জামায়াতের উপর আল্লাহর রহমত রয়েছে। তোমরা বৃহত্তম জামায়াতের অনুসরণ করো, নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন হলো, তাকে পৃথক করে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। (হাকিম, ইবনে আবি আসিম, হাকিম–আল মুসতাদরক হাদীস নং ৩৯৭)
বর্ণিত হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, এ উম্মতের সকলে গোমরাহীর উপর ঐক্যমত হবেনা, যারা বৃহত্তম দল এর অনুসরণ করবে, তারা নাজাতপ্রাপ্ত হবে। যারা বৃহত্তম জামায়াত থেকে দূরত্ব বজায় রাখবে, বৃহত্তম জামায়াত তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসরণ বর্জন করবে তারা জাহান্নামী হবে। হাদীস বিশারদগণ মুক্তিপ্রাপ্ত দলের নামকরণ করেছেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত। এ জামায়াতের উপর রয়েছেন নবীজির এক লক্ষ চৌদ্দ হাজার মতান্তরে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার সাহাবায়ে কেরাম, খোলাফায়ে রাশেদীন, হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.), হযরত ওমর ফারুক (রা.), হযরত ওসমান জিন্নুরাইন (রা.), হযরত মাওলা আলী (রা.) প্রমুখ সম্মানিত সাহাবাগণ, আহলে বায়তে রসূল, তাবেঈন, তবে তাবেঈন, মুজতাহিদ ইমামগণ যথাক্রমে হযরত ইমাম আবু হানিফা (রা.), হযরত ইমাম শাফেয়ী (রা.), ইমাম মালেক (রা.), হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রা.), তরীক্বতের মাশায়েখগণ, গাউসুল আযম দস্তগীর আবদুল কাদের জিলানী (রহ.), খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.), হযরত মুজাদ্দিদ আলফে সানী (রহ.), হযরত বাহাউদ্দিন নকশবন্দ (রহ.), হযরত ইমাম বোখারী (রহ.), হযরত ইমাম মুসলিম, হযরত ইমাম তিরমিযী, ইমাম নাসাঈ, ইমাম আবু দাউদ, ইমাম ইবনে মাযাহ্। শতাব্দীর বিস্ময় কালজ্বয়ী বরেণ্য মুহাদ্দিসিনে কেরাম, কুরআনের তাফসীর বিশারদগণ। এরই ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে ইসলাম আ’লা হযরত শাহ্ মাওলানা আহমদ রেযা বেরলভী (রহ.), সদরুল আফাযিল হাকিম সায়্যিদ নঈমুদ্দিন মুরাদাবাদী (রহ.), ভারত, পাকিস্তান, আরব বিশ্বসহ গোটা মুসলিম দুনিয়ার আউলিয়ায়ে কেরাম, হক্কানী আলেম ওলামা তরীকত ও তাসাওফপন্থী সুফীবাদী সুন্নী মুসলমানরা উম্মতের বৃহত্তর অংশ মুক্তিপ্রাপ্ত দল। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বিদা বিশ্বাসে আমলে, তাকওয়া, পরহেজগারী, সততা, নিষ্ঠা, নৈতিকতা ও ধর্মীয় অনুশাষণ পালন ও অনুসরণে, যাঁদের আমল আখলাক শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় বহন করে, তাঁরা উম্মতে মোহাম্মদীর মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী। সৎ কাজের আদেশ অসৎ কাজের নিষেধ এ গুরু দায়িত্ব সম্পাদনে যারা জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে ও ক্ষেত্রে অনুসরণীয়। কর্মগুণে যাঁরা অনুকরণীয়, তাঁরা শ্রেষ্ঠ উম্মতের মর্যাদায় অভিষিক্ত। আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদেরকে শ্রেষ্ঠ উম্মতের মর্যাদা অর্জন করার তাওফীক দান করুন। আমিন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা–এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম, খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।
মুহাম্মদ আজদুর রহমান
পশ্চিম জলদি, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: যারা অহেতুক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে ইসলামে তাদের শাস্তি কী?
উত্তর: নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর অহেতুক মূল্য বৃদ্ধির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনগণকে কষ্ট দিলে তার জন্য আল্লাহ তা’আলা পরকালে কঠোর শাস্তি দিবেন। প্রিয় নবীজি এরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি মুসলমানদের ক্রয় বিক্রয়ে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দ্রব্য মূল্যে বৃদ্ধি ঘটাবে আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুনের হাড়ের উপর বসিয়ে তাকে শাস্তি দিবেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং: ২০৫৭৯)
এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যদ্রব্য মজুদ করে দাম বৃদ্ধি করে, নবীজি এরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি পন্যদ্রব্য মজুদ করবে সে, পাপী।” (সহীহ মুসলিম)
আরো এরশাদ করেছেন, “মজুদ কারী অভিশপ্ত।” (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক, ৮ম খন্ড, পৃ: ২০৪)
ইসলামে অন্যায়ভাবে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি করা জঘন্য অপরাধ হিসেবে চিন্থিত করেছে, বাজারের শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আমিরুল মুমেনীন হযরত ওমর (রা.) এর খিলাফতকালে তিনি নিজে বাজার ঘুরে দেখতেন। বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং করার জন্য রাষ্টীয়ভাবে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওতবাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ইসলামী শরীয়তে চুরি, ডাকাতি, ব্যাভিচার, ব্যাভিচারের অপবাদ ও মদ্য পানের শাস্তি কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত, যে সব অপরাধের শাস্তি নিধারণ করেনি, তা প্রশাসন ও বিচারকের বিবেচনার উপর ছেড়ে দিয়েছে। তাকে ইসলামে তাযীর বা দন্ডবিধি বলে। বিচারক অপরাধের মাত্রা, ধরন, পরিমাণ বিবেচনা করে জনকল্যাণের স্বার্থে যতটুকু শাস্তির প্রয়োজন জেল, জরিমানা ও সর্তকারোপ ইত্যাদি যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু দিতে পারেন। প্রয়োজনে অপরাধ দমন ও নির্মূলের স্বার্থে সরকার নিজস্ব আইন করতে পারে। ইসলাম সাধারণভাবে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেনা, তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের বেপরোয়া লাগামহীন উর্ধগতি রোধ করার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য নির্ধারণ ও তালিকা প্রণয়ন ইসলাম অনুমতি দিয়েছে। মুজতাহিদ ফকীহগণ এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেনি। (হেদায়া, দুররুল মোখতার, বাহারে শরীয়ত, ষষ্ঠদশ খন্ড, পৃ: ৯২)