ভুল তথ্য দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণকে যাতে ভবিষ্যতে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র কোনো ধরনের বিভ্রান্ত করতে না পারে এবং চট্টগ্রামে নাশকতা করতে না পারে এই ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণে চট্টগ্রাম মহানগর–উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ৬ শীর্ষ নেতা বৈঠক করেছেন। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকায় এই বৈঠকে বসেন চট্টগ্রাম উত্তর–দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান।
ভবিষ্যতে যাতে জামায়াত–বিএনপি এই ধরনের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নাশকতা করতে না পারে এই ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম। তিনি আজাদীকে বলেন, স্বাধীনাতা বিরোধী–জামায়াত–শিবির ও বিএনপি ছাত্রদের কাছে ভুল তথ্য দিয়েছে, সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করে নাশকতা চালিয়েছে। সামনে আগস্ট মাস। মাসব্যাপী শোক দিবসের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আমরা এলাকায় এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের বিভ্রান্তি নিরসনের এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করার কর্মসূচি পালন করবো।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান আজাদীকে বলেন, কোটা সংস্কারের নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে জামায়াত–শিবির ও বিএনপির সন্ত্রাসীরা ষোলশহর–মুরাদপুরে আমাদের ছাত্রলীগের ছেলেদের যেভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় ৪র্থ তলা ভবনে নির্যাতন করে নিচে ফেলে দিয়ে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে এবং যেভাবে বহদ্দারহাট–শাহ আমানত ব্রিজ এলাকায় নাশকতা চালিয়েছে–এই ব্যাপারে পর্যালোচনা করা হয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে এই ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে মোকাবেলা করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে–তখন স্বাধীনতা বিরোধীরা মিথ্য তথ্য দিয়ে শিক্ষার্থী আর সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করে নাশকতা চালিয়েছে। বৈঠক শেষ করে আওয়ামী লীগের এই ৬ শীর্ষ নেতা দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করেছেন।