কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে নানামুখী অপপ্রচার চালানো হচ্ছে দাবি করেছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামের আমান বাজার নতুন পাড়া এলাকায় বিআরটিসি বাস ডিপোতে শ্রমিকলীগের নেতারা বাসে আগুন দিয়েছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটিয়ে এর দায়ভার বিএনপির উপর চাপানোর চক্রান্ত করছে।
গতকাল গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। বিবৃতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে এক সপ্তাহে বিএনপির ৩২০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। বিবৃতি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোটা সংস্কারে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আজকে দেশের যে অবস্থা তার জন্য সরকার দায়ী। সরকার এখন এই নৃশংস ঘটনার দায় এড়াতে নির্বিচারে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপির উপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা করছে। অথচ গত রবিবার বায়েজিদ থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি দিদারুল আলমের নির্দেশে চার লাখ টাকার বিনিময়ে আরেক শ্রমিকলীগ নেতা সোহেল রানা চারটি বাসে আগুন দেয় চট্টগ্রামের বিআরটিসি বাস ডিপোতে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাধারণ ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি সচেতনভাবেই সরাসরি যুক্ত হয়নি। কিন্তু নিরীহ এই ছাত্র আন্দোলনকে দমন করার জন্য সরকার প্রথম থেকেই এটাকে রাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে। সারা বিশ্ব থেকে এ ঘটনা আড়াল করতে পরিকল্পিতভাবে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ত না থাকলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও ঘরে ঘরে তল্লাশি ও হয়রানি করা হচ্ছে। টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে না পেয়ে তাদের আত্মীয় স্বজনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।