দেশে চলমান অস্থিতিশীল অবস্থায় যখন সাধারণ মানুষের আয় রোজকারের পথ বন্ধ ঠিক মুদ্রার অপর পিঠের মতো ঘরোয়া অনুষ্ঠানের জন্য অগ্রিম অর্ডার নেওয়া হোম মেইড কেক ডেলিভারি দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে মাধ্যমিকের গণ্ডি পার না হওয়া সানিরা ইসলাম জিসা নামের এই ছাত্রী।
কারিগরী শিক্ষা নয় ভিডিওর জগৎ ইউটিউব থেকে কেক বানানোর ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয় সে। যেই ভাবনা সেই কাজ, ঘরে বসে নিজেই কেক তৈরি করার চেষ্টা করতে থাকে জিসা। তৈরিও করে ফেলে সুস্বাদু কেক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক একাউন্টে (Jisa’s Bakeoff) নামে আছে পেজ। মূলত কেউ পেজে কেকের ডিজাইন, পরিমাণ লিখে মেসেজ দিয়ে অগ্রিম অর্ডার করেন, সেই অনুযায়ী কেক তৈরি করে ডেলিভারি দিয়ে আসা হয়। নতুন অবস্থায় মাসে ১৫–১৮টি অর্ডার আসত। ৩ মাসের ব্যবধানে যা অনেকটা বেড়েছে।
সানিরা ইসলাম জিসা বলেন, শখের বসে ইউটিউব থেকে দেখে কাজটি শিখেছি, আমার ইচ্ছে আছে যদি সম্ভব হয় কঠোর পরিশ্রম ও সাধনা করে বড় প্রতিষ্ঠানের রূপ নিবে ছোট পরিসরে করা আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
জিসার বাবা নুরুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, আমার ৫ মেয়ের মধ্যে ৪ নাম্বার মেয়েটি শুরুতে অনেক চেষ্টা করে কেক বানাতো যদিও তা ঠিক হতো না, পরে কঠোর অধ্যবসায়ে তার প্রচেষ্টা সফল হয়। মেয়ের এই কর্মকাণ্ড দেখে ভালোই লাগে।
জিসার মা বলেন, শুরুতে ওর এমন কাণ্ড দেখে নিজেই বিরক্ত হচ্ছিলাম। পরবর্তীতে আমি নিজেই তার কাজে সাহায্য করতাম আর ভাবতাম সে তো কোনো অন্যায় করছে না বরং নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তাকে সব সময় উৎসাহ দেয়া দরকার। প্রতিবেশিরা জানায়, তার এই প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়, তাকে দেখে সকলের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিৎ। বর্তমানে চাকরি পাওয়া কঠিন সাধ্য একটি ব্যাপার, তাই চাকরির পিছে না ঘুরে নিজে কিছু করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো উচিৎ। সানিরা ইসলাম জিসা স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ শ্রেণির ব্যবসায়ী বিভাগের ছাত্রী।