কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক অবরোধ, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধাসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত কয়েকশ জনকে আসামি করা হয়েছে। থানার উপ–পরিদর্শক সোহরাব সাকিব বাদী হয়ে থানায় মামলাটি রুজু করেন।
পরে এসব ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচজনকে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুইজন বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতা ও তিনজন জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সক্রিয় কর্মী। তারা হলেন চকরিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি হাবিব উল্লাহ মিজবাহ, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সক্রিয় তিন কর্মী মো. বোরহান, সাদ্দাম হোসেন ও তৌহিদুল ইসলাম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গায় দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল সহকারে সড়ক অবরোধ করেন বিএনপি ও জামায়াত–শিবিরের কয়েকশ নেতাকর্মী। এ সময় জনগণের জানমাল রক্ষা করতে গেলে এবং মহাসড়ক থেকে আন্দোলনকারীদের চলে যেতে বলায় পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায় তারা। এ সময় হামলায় আহত হন পুলিশের তিন সদস্য।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, মহাসড়ক অবরোধ, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, উসকানি দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে অজ্ঞাত কয়েকশ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পরবর্তীতে ভিডিও ফুটেজ দেখে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শণাক্তের পর এসব ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর তাদেরকে এই মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন।