জাহাজের ইউনিক আইটেম পাওয়া যায় যেখানে

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ২৪ জুলাই, ২০২৪ at ৩:৩৩ অপরাহ্ণ

বিশ্ব বিখ্যাত শিল্পীর নানা শৈল্পিক চিত্রকর্ম, দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা, ইলেক্ট্রনিক পণ্য ও আসবাবপত্র। টিভি, ফ্রিজ, এসি, সাউন্ডবঙ কী নেই এখানে, ঘরের অন্দরমহল সাজানো এবং গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় সবই পাওয়া যায় চট্টগ্রামের ভাটিয়ারির পুরাতন পণ্যের দোকানগুলোতে। পাহাড় ও প্রকৃতির মেলবন্ধন চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ রিং রোডের সুদৃশ্য সড়ক পেরিয়ে ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়ক। এক কিলোমিটার দূরে ভাটিয়ারী বিএম গেট গেলেই চোখে পড়ে সরাসরি দোকান। যেখানে একটি ঘর সাজাতে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সৌখিন বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে এসব পণ্য আসে পুরনো জাহাজ থেকে। স্বল্পমূল্যে ইউনিক জিনিস দিয়ে নিজের

ঘর সাজাতে দূরদূরান্ত থেকে এসব পন্য কিনে নিয়ে যাওয়া হয়। মূলত বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এ মালামালগুলো সংগ্রহ করা হয় বলে জানান বিক্রেতারা। স্ক্র্যাপ জাহাজের ব্যবহার হওয়া পুরাতন শৈল্পিক জিনিসে ঠাসা। জাহাজ ভেঙে পাওয়া বিখ্যাত চিত্রকর্ম

ও জরুরি আসবাবপত্র। মুখোশ ও নামিদামি ব্রান্ডের ঘড়িও আকৃষ্ট করে সবাইকে। সবখানে সাজিয়ে রাখা নয়ন জুড়ানো নানা বাহারি রঙের লাইট। ছাদে ঝুলানো নানা সুদৃশ্য বাতি। আছে নানা ব্রান্ডের ঘড়ি ও কমপাস। এসব জিনিসের আছে কদর। তাই শৌখিন মানুষ, শিল্পপ্রেমীরা ঘরের পাশাপাশি বিভিন্ন হোটেলরেস্তোরাঁর আলোকিত করতে কিনেন এসব। জাহাজে ব্যবহার হওয়া বঙ্গোপসাগরের তীরে ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কের দুইপাশে সীতাকুন্ডে পুরাতন জাহাজ ভাঙ্গার নানা জিনিসপত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ১০ হাজারের বেশি দোকানপাট। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক লাখ মানুষের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রবাহ
পরবর্তী নিবন্ধহালদায় মাছ ধরতে নেমে যুবক নিখোঁজ