কারফিউ শিথিল করা হলে গতকাল মঙ্গলবার রাউজানে এসে দলীয় নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নিলেন রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সারা দেশে বিএনপি–জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, সরকারি সম্পত্তি ধংসের সাথে কারা কারা উস্কানি দিচ্ছে, ঘৃণ্য কাজে কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সাথে এক বৈঠকে তিনি বলেন, রাউজান শান্তি ও সমৃদ্ধির জনপদ। আড়াই যুগের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই উপজেলা দেশের মাধ্যে একমাত্র শান্তি ও সমৃদ্ধির জনপদ। তিনি বলেন, আমাদের রাউজানে কোনো দুষ্কৃতিকারী, সন্ত্রাসী গোষ্ঠির তৎপরতা বরদাস্ত করা হবে না। রাউজানে বসে কেউ গোপনে অথবা প্রকাশ্যে সরকার বিরোধী তৎপরতায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের ধরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে তিনি সারাদিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, পৌরসভার মেয়র উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগজ্যাই মারমা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আবদুল ওহাব, এসি ল্যান্ড রিদোয়ানুল ইসলাম, ওসি জাহেদ হোসেন, দলের সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সহসভাপতি স্বপন দাশ গুপ্ত, কামরুল হাসান বাহদুর, কাউন্সিলর বশির উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট সমীর দাশ গুপ্ত, কাজী ইকবাল, আলমগীর আলী, আজাদ হোসেন, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জানে আলম, সওকত হাসান, সরোয়ার্দ্দি সিকদার, শফিকুল ইসলাম, সাহাবুদ্দিন আরিফ, বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, প্রিয়োতোষ চৌধুরী, সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল, রোকন উদ্দিন, বাবুল মিয়া, রবিন্দ্র লাল চৌধুরী, তসলিম উদ্দিন, আবদুল লতিফ, যুবলীগ নেতা সুমন দে, হাসান মোহাম্মদ রাসেল, তপন দে প্রমুখ।