কর্ণফুলীতে মহিলাকে গরম পানিতে ঝলসে দেওয়ার অপরাধে যুবক গ্রেপ্তার

জে. জাহেদ, নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ১৬ জুলাই, ২০২৪ at ৬:৪৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন বৈরাগ ইউনিয়নে পাওনা ২৫০০ টাকা চাইতে গিয়ে কারিগরকে মারধর ও পরে স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও দোকানে থাকা চায়ের গরম পানি ছুঁড়ে হাত, মুখ ও গলা ঝলসে দেওয়া মামলায় মো. এমানুর রশিদ (৩৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর কর্ণফুলী থানাধীন বৈরাগ ইউনিয়নের (৬ নম্বর ওয়ার্ড) কেইপিজেড ২ নম্বর গেইট সংলগ্ন চায়ের দোকান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যেখানে আগের দিন বিকেলে ঘটনাটি ঘটে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন। গ্রেপ্তার মো. এমানুর রশিদ (৩৬) বৈরাগ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এয়াকুব আলী মুন্সী বাড়ির জালাল আহাম্মদের ছেলে বলে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই মো. মিজানুর রহমান জানান।

মামলার এজাহার ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদি মো. মিন্টু পেশায় একজন চাকরিজীবী। এক বছর পূর্বে সে গ্রেপ্তার আসামি রশিদের চায়ের দোকানে কারিগর হিসেবে চাকরি করতো। চায়ের দোকানে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে হাত দিয়ে নাস্তা তৈরি করতেন। পরে বনিবনা না হওয়ায় রশিদের দোকানের চাকরি ছেড়ে দেন মিন্টু।

রশিদের দাবি সে মিন্টুর কাছ থেকে ২৫০০ টাকা পাবেন। এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়াঝাটি হয়। ২ মাস যাবত রশিদের চায়ের দোকানের পাশে জনৈক মারুফের দোকানে চাকরি শুরু করে মিন্টু।

গত ১৫ জুলাই বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে দুজনের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। মিন্টু প্রতিবাদ করলে রশিদ এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করেন। মিন্টুকে মারধরের খবর শুনে তাঁর স্ত্রী সাকি আক্তার (২৫) একই দিন ৫ টার সময় রশিদের দোকানে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে রশিদ চায়ের দোকানে থাকা গরম পানি ছুঁড়ে।

এতে ভিকটিমের হাত-মুখ ঝলসে যায়।

এ ঘটনায় পরে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ভিকটিম মিন্টু গত ১৬ জুলাই দোকানদার রশিদকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। যার কর্ণফুলী থানা মামলা নম্বর-২২।

পরে এ মামলায় বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই মো. মিজানুর রহমান বৈরাগের কেইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি মো. এমানুর রশিদ (৩৬) কে গ্রেপ্তার করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩ প্লাটুন বিজিবি
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে সংর্ঘষে নিহত ছাত্র আকরামের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়ায়