চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) আয়তনে দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যাপীঠ হলেও নেই শিক্ষক–ছাত্র কেন্দ্র (টিএসসি)। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫৯ বছর পার হলেও এবং শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় একটি টিএসসির জন্য দাবি জানিয়ে আসলেও কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় তা কখনও আলোর মুখ দেখেনি।
তবে টিএসসির সেই আক্ষেপ এবার ঘুচতে যাচ্ছে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন সৃষ্টির জন্য চবিতে টিএসসি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ; তবে তা ক্যাম্পাসে নয়, চট্টগ্রাম শহরে। এ লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নিকট ১৫ কাঠা জমি চেয়ে গত ১ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি সুবিধা থাকলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটি অনুপস্থিত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন সৃষ্টির জন্য টিএসসি স্থাপন অপরিহার্য।
চিঠিতে বলা হয়, আপনি আরও অবগত আছেন যে, চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রে একটি টিএসসি স্থাপন করা শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি। শহরে বসবাসরত শিক্ষক, ছাত্র–ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য একসময় ভাড়া করা বাড়িতে চট্টগ্রাম শহরে একটি মেডিকেল সেন্টার চালু ছিল। কিন্তু জায়গার অভাবে বর্তমানে শহরে বসবাসরত শিক্ষক, ছাত্র–ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
তাছাড়া প্রতিদিন চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে আনা–নেওয়ার জন্য বিভিন্ন রুটে প্রায় অর্ধ শতাধিক গাড়ি ক্যাম্পাস থেকে শহরে কমপক্ষে চারবার আসা–যাওয়া করতে হয়। শহরে একটি গাড়ি পার্কিং স্থান থাকলে এই খাতে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি খরচ সাশ্রয় করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদ বলেন, টিএসসির জন্য জমি চেয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছিলাম। চিঠিটি প্রক্টর জেলা প্রশাসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। এটি নিয়ে প্রক্টর এবং উপাচার্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আমি যতটুকু জানি জেলা প্রশাসক এ বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক আছেন।
প্রক্টর প্রফেসর ড. অহিদুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম শহরের মূল জায়গায় ১৫ কাঠা জমির জন্য আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছি। তিনি আমার সামনেই এডিসি এবং এসিল্যান্ডের কাছে চিঠির কপি হস্তান্তর করেছেন। তিনি বলেন, আমরা ১৫ কাঠা জমি চাইলেও আমাদেরকে আরও বড় জায়গা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। আমরা ষোলশহর স্টেশনের আশেপাশে জায়গা পাওয়া যায় কিনা সেই চেষ্টা করছি।