মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের কারণে নাফ নদী হয়ে টেকনাফ–সেন্টমার্টিন নৌ রুট বন্ধ রয়েছে। এতে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ হয়ে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে সেখানকার বাসিন্দারা। চলমান বর্ষা মৌসুমে উত্তাল রয়েছে সাগর। এতে আশার আলো নিভে যায় সেন্টমার্টিনবাসীর। গত ২২ জুন থেকে বন্ধ হয়ে যায় ওই রুটটিও। তবে ৭ জুলাই থেকে শুরু হয় টেকনাফ–সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল। কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে বৈরি আবহাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচল। সীমিত পরিসরে অসুস্থ রোগী, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ জীবনের প্রয়োজনে ভয় নিয়ে যাওয়া–আসা করছেন দুই কূলের বাসিন্দারা। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, মিয়ানমারের সংঘাতে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ এবং দেশটির সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি ট্রলার ও স্পিডবোটকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ায় নাফ নদী হয়ে টেকনাফ–সেন্টমার্টিন পথে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এখন বিকল্প পথে শাহপরীর দ্বীপে গিয়ে ভিড়ছে সেন্টমার্টিনের নৌযান। চলমান বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল হলেও জীবিকার প্রয়োজনে কিছু ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করছে। যাত্রী সাধারণ আগে টেকনাফ কায়ুকখালি ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনে গেলেও এখন সময়ের কথা বিবেচনা করে শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটই ব্যবহার করছে। তবে বিভিন্ন মালামাল টেকনাফ কায়ুকখালি ঘাট থেকেই নেওয়া হচ্ছে।
সেন্টমার্টিন স্পিডবোট পরিচালনায় দায়িত্বরত মো. জাহাঙ্গীর জানান, দ্বীপ থেকে স্পিডবোটে করে যাত্রীরা শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে যাচ্ছেন। তবে এখন যেহেতু বর্ষাকাল, স্বাভাবিক ভাবে সাগর উত্তাল থাকে। বৃষ্টির অবস্থা বুঝে স্পিডবোট চলাচল করে। শুক্রবারও কিছু অসুস্থ রোগী ও যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট দুপুরে শাহপরীর দ্বীপে যায়।
টেকনাফ–সেন্টমার্টিন ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, এখন ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও বৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সাগর উত্তাল থাকলে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ট্রলার কম চলাচল হয়। যাত্রীর ওপর নির্ভর করে এক বা দুইটা ট্রলার টেকনাফ কায়ুকখালি ঘাট থেকে ছাড়ে। শুক্রবারও একটি ট্রলার যাত্রী ও মালামাল নিয়ে সেন্টমার্টিনে গেছে। যেসব স্পিডবোট শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে সেগুলো ঝুঁকি নিয়ে আসা–যাওয়া করছে। কায়ুকখালি ঘাট থেকে স্পিডবোট এখন ছাড়ে না।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, সাগরের পরিস্থিতি দেখে সেন্টমার্টিন–টেকনাফ ট্রলার আসা যাওয়া করছে। ঘাটতি হওয়ার আগেই পৌঁছে যাচ্ছে ভোগ্যপণ্য ও অন্যান্য সরঞ্জাম। সবদিকেই আমাদের নজর রয়েছে।