রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করে ইউপিডিএফ। ইউপিডিএফ এ ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছে। যদিও জেএসএস বলছে, ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে এ ঘটনা ঘটেছে।
ইউপিডিএফের রাঙামাটি জেলা সংগঠক সচল চাকমা বিবৃতিতে বলেন, শনিবার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের সময় জেএসএস সন্তু গ্রুপের অভিযান ও বিফোর্স চাকমার নেতৃত্বে ৭ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাজেক ইউনিয়নের মাচলং ব্রিজপাড়ায় হানা দিয়ে সেখানে সাংগঠনিক কাজে থাকা ইউপিডিএফ কর্মী মন্টু চাকমার (৫৫) ওপর সশস্ত্র হামলায় চালায়। এতে মন্টু পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। আহত মন্টু চাকমা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া রুখচন্দ্র কার্বারি পাড়ার বাসিন্দা। তার পিতার নাম মৃত হেঙগি ধন চাকমা।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা সচল চাকমা হামলার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত আখ্যায়িত করে বলেন, ইউপিডিএফের নেতৃত্বে চলমান সিএইচটি রেগুলেশন রক্ষার আন্দোলন নস্যাৎ করে দেয়ার লক্ষ্যে সন্তু গ্রুপ এই হামলা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) বাঘাইছড়ি উপজেলা কমিটির সহ–সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চাকমা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ঘটেছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ (প্রশাসন ও অর্থ) মারুফ আহমেদ বলেন, সাজেকে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।