অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রেসক্রিপশনে থাকা ওষুধ পাল্টে অন্য ওষুধ দিয়ে দিচ্ছে। যারা সেটি গ্রহণ করছে, তাদের রোগ তো সারছেই না বরং কারও জন্য অধিকতর খারাপ হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মনে ডাক্তারের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা আজকাল বাংলাদেশে হামেশাই ঘটছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এফডিএ, বা ফেডারেল ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সমস্ত খাদ্যপণ্য এবং ওষুধ বিক্রির ওপর অত্যন্ত কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেখানে রেজিস্টার্ড ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি বা হস্তান্তর কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। সঠিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা প্রতিকার ছাড়া দীর্ঘমেয়াদী ব্যথানাশক ব্যবহার বিপজ্জনক। এটি অনিবার্যভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। বাংলাদেশে ওষুধের বিক্রয় ও বিপণনের ক্ষেত্রে কোনো আইন বা বিধি–নিষেধের বালাই নেই। এছাড়াও বেশ কিছু ওষুধ কোম্পানি রয়েছে যেগুলো নিম্নমানের, নকল ওষুধ তৈরি ও বিপণন করে। তদুপরি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রয়ের বিরুদ্ধে নিয়ম থাকলেও তা প্রায় কেউই মানছে না। হাত বাড়ালেই আজকাল যে কোন ওষুধ যে কোন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। তাই, আমাদের দেশের ডাক্তারদের প্রতি অনুরোধ থাকবে ভাল মানের ওষুধ লিখুন এবং কতদিন সেবন করা নিরাপদ তা ব্যাখ্যা করুন। নিম্নমানের ওষুধ সেবনের ঝুঁকি কত মারাত্মক হতে পারে তা থেকে সতর্ক করুন।
আসিফ আল মাহমুদ
চট্টগ্রাম।