ভাষা-উপভাষা ও চাটগাঁ ভাষা

ড. শ্যামল কান্তি দত্ত | শুক্রবার , ১২ জুলাই, ২০২৪ at ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

বাংলা একাডেমির বইমেলায় (২০২২) এক বিকেলে বন্ধুদের আড্ডায় বাতিঘর প্রকাশনীর সিইও ও চিফ এডিটর কবি জাফর আহমদ রাশেদ প্রশ্ন করেন: ভাষা ও উপভাষা নির্ধারণের মানদণ্ড কী? . মনিরুজ্জামানের উপভাষা চর্চার ভূমিকা (১৯৯৪) বইয়ের রেফারেন্সে বলি: ভাষাভাষীর বোধগম্যতাই এক্ষেত্রে প্রধান মানদণ্ড। তিনি তখন চাটগাঁ ভাষায় চবর্গীয় বর্ণে শুরু গালিসমেত সম্বোধন করে ফের প্রশ্ন রাখেন: দুজন চট্টগ্রামের মানুষ যখন নিজেদের মধ্যে কথা বলে তখন সিলেটিরংপুরি কিংবা বাংলাভাষী কোনো মানুষ কি বুঝতে পারে? এর উত্তর যেহেতু না বোধক সেহেতু চট্টগ্রামের ভাষাকে উপভাষা বলবে কেন? বলা বাহুল্য, এ প্রশ্ন কেবল সাধারণ চাটগাঁভাষীর নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাবিজ্ঞান পাঠে ঋদ্ধ কবিসাহিত্যিকেরও। আমাদের যুক্তি হচ্ছে এযাবৎ কোনো ভাষাবিজ্ঞানী চট্টগ্রামের ভাষাকে বাংলার উপভাষা বৈ আলাদা ভাষা বলে স্বীকার করেননি (অবশ্য, আবদুল করিম স্বীকার করেছেন, চাইলে অসমীয়াদের মতো আমারাও আলাদা ভাষা বানাতে পারতাম)। অন্যদিকে পৃথিবীর যেশতাধিক ভাষায় দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়, রাষ্ট্রীয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেতালিকায় চট্টগ্রামের ভাষা নেই। সমাজবিজ্ঞানী এবং ইহুদী পন্ডিত ম্যাক্স ওইয়েনরিচ প্রমাণ করেছেন: কোনটি ভাষা আর কোনটি উপভাষা তা নির্ধারণ করেন রজনীতিবিদ কিংবা সামরিক শাসক, ভাষাবিজ্ঞানীর প্রভাব এতে নেই বললেই চলে। তবু বাংলাদেশে আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে এমন আবেগি অবস্থান প্রকট। বাংলার আঞ্চলিক ভাষাগুলো ভাষা না উপভাষাএই প্রশ্নের জবাব বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে অনুসন্ধান করেছেন চাটগাঁ ভাষাপরিষদের প্রতিষ্ঠাতাসভাপতি ড. মো: আবুল কাসেম। তাঁর ভাষাউপভাষা ও চাটগাঁ ভাষা বিষয়ক সতেরোটি গবেষণা প্রবন্ধ, একটি সাক্ষাৎকার ও একটি অনুবাদ নিয়ে প্রণীত গ্রন্থ ভাষা বিষিয়ক বিবিধ বিবেচনা (২০২৪)

প্রবন্ধগুলো দেশেবিদেশে বিভিন্ন সেমিনারে পঠিত এবং বিভিন্ন পত্রিকা ও লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হলেও গ্রন্থরূপ দেওয়ার সময় ‘সবকটি প্রবন্ধই কমবেশি পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন’ করেছেন বলে জানিয়েছেন ভাষাবিজ্ঞানী ড. মো: আবুল কাসেম। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব ও ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর (১৯৭৪) সম্পন্ন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে পঁয়ত্রিশ বছর অধ্যাপনার অভিজ্ঞতাঋদ্ধতা তাঁর প্রবন্ধের পরতে পরতে পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের স্বনামধন্য শৈলী প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বইটির সূচিপত্র অনুযায়ী আলোচনায় অগ্রসর হওয় যাক।

ভাষাবিবর্তনে মহামতি বুদ্ধের ইতিবাচক ভূমিকা’ শীর্ষক প্রথম প্রবন্ধে তিনি স্বীকার করেন যে, পাণিনি এবং অপরাপর পণ্ডিত বৈয়াকরণগণের প্রয়াসে, বড় বড় মাপের প্রতিভাবান সাহিত্যিকির আবির্ভাবে সংস্কৃত ভাষার একটি কৌলিণ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবু বুদ্ধের বাণী: ‘সকায় নিরুত্তিয়া’ (অর্থাৎ, নিজ ভাষায়)-আজ মাতৃভাষাপ্রেমী সকল মানুষের একমাত্র স্লোগান। ভারতসম্রাট অশোকের (৩০৪২৩২ খ্রি.পূ.) ভাষাচিন্তা বুদ্ধের পরম অনুগত। তাই প্রাচীন ভারতের প্রত্যেক অঞ্চলের অনুশাসন ছিল সে অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মাতৃভাষায় রচিত কিংবা অনূদিত (পৃ.১২)। আজ আমাদের অজানা নয় প্রথিবীর সকল ধর্মের প্রবর্তক/প্রচারকগণও নিজেদের মাতৃভাষায় ধর্ম প্রবর্তন করেছে বা ধর্মগ্রন্থ নাজিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন। ‘মধ্যযুগের বাংলা কাব্যভাষায় প্রান্তজন: আরাকান রাজসভার বাংলা সাহিত্যের দৃষ্টান্তে’ প্রবন্ধে দেখিয়েছেন, ‘মধ্যযুগ থেকেই বাংলা সাহিত্যের দুটো স্পষ্ট ধারা: নাগরিক ধারা এবং লোকধারা’। লোকধারার প্রান্তজনের লোকভাষা লেখা না হলেও মানুষের হৃদয়পটে লিখিত আছে। আমাদের বিপন্ন আঞ্চলিক ভাষাকে রক্ষায় তাঁর ঐকান্তিক আগ্রহ ও আকাঙ্ক্ষা: ‘প্রমিত বাংলা যাতে সকল অঞ্চলের সকল প্রান্তের মানুষের মুখের শব্দ এবং বাচনভঙ্গীকে গ্রহণ ও ধারণ করে আরও প্রতিনিধিত্বশীল হয়ে উঠতে পারে, সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ করা উচিত (পৃ.২২)। ‘বাঙালি মুসলমান ও ফারসি ভাষা: উনিশ শতক’ প্রবন্ধটি মূলত সালাহউদ্দিন আহমদের ‘আত্মপরিচয়ের সন্ধানে: একটি ঐতিহাসিক সমীক্ষা’ (১৯৯০) প্রবন্ধের আলোচনা। প্রবন্ধটির লক্ষ্য বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা জানিয়ে ড. কাসেম লেখেন: ‘এই স্বাধীন দেশের মাটিতেও আজ আমরা নতুন করে ‘বাঙালি বনাম বাংলাদেশী’ বিতর্কে লিপ্ত রয়েছি। এখানে বর্তমান লেখকের পিএইচডি গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক যেবিষয়টি এড়িয়ে গেছেন তা হচ্ছে: আমাদের নাগরিকতা বাংলাদেশী আর জাতীয়তা বাঙালি। নেশন্যালিজম আর সিটিজেনশিপ শব্দদুটির পারিভাষিক রূপ এক করে দিয়ে গন্ডগোলটা বাঁধানো হয়েছে। তবে যথার্থই তাঁর প্রত্যাশা: জটিলতামুক্ত বিজ্ঞানমনস্ক মানবসমাজ রচনা করা গেলে এ বিরোধ মিটে যাবে। ‘আধুনিক বঙ্গে ফারসি চর্চার গুরুত্ব’ প্রবন্ধে জানা যায়আগে এদেশে ফারসি জানা লোককে বিশেষভাবে সম্মান করে মুন্সী বলা হত। ১৮৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজি ভাষাজ্ঞান ব্যতীত সরকারি চাকুরিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে ফারসি চর্চার পথ সংকীর্ণ হয়ে যায়। তিন পৃষ্ঠাব্যাপ্ত প্রবন্ধটি পাঠকের কাছে অসম্পূর্ণ এবং আচমকা শেষ মনে হতে পারে। ‘বিদ্যাসাগরের বাংলা গদ্য ও ইংরেজি ভাষা’ প্রবন্ধে পাঠক জানবেন, বিদ্যাসাগরের পৌনঃপুনিক প্রচেষ্টায় সংস্কৃত কলেজে ইংরেজি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয় (পৃ.৩২)

একুশের তাৎপর্য’ প্রবন্ধে তিনি স্পষ্ট করেন, ‘পরিমিত আরবিফারসি শব্দ মিশিয়ে বাংলাকে ইরানি জেওর পরিয়ে বাংলা ভাষার সঙ্গে মুসলিম মানসের মানঅভিমানের একপ্রকার ফয়সালা হয়েই গিয়েছিল, কিন্তু চল্লিশের দশকে নতুন করে বিষয়টি আবার তাজা করে তোলা হল। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল প্রচলিত বাংলা ভাষাকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে পাকিস্তানের জন্য স্বতন্ত্র এক বাংলা ভাষার রূপ দেয়া। সেটা যে কতখানি অবাস্তব ব্যাপার ছিল, রাজনীতির আবেগে সেদিন সেটা তাঁরা বুঝতে পারেননি’ (পৃ.৩৯)। ‘আবুল মনসুর আহমদের ভাষাচিন্তা ও সমকালীন পরিপ্রেক্ষিত’ প্রবন্ধে তিনি দেখান এই মুসলিম স্বাতন্ত্র্য চিন্তা থেকেই আবুল মনসুর ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপভাষাভিত্তিক পূর্ববঙ্গের সাহিত্যিক গদ্য নির্মাণের প্রস্তাব করেছিলেন এবং সাধু গদ্যের প্রতি পক্ষপাতিত্ব প্রদর্শন করেছিলেন। তবে এই ভাষাচিন্তা নিয়ে প্রবন্ধে প্রাবন্ধিকের পক্ষপাত স্পষ্টতা পায়নি। ‘অমর একুশে ও বাংলাদেশে বাংলা ভাষার চর্চা’ প্রবন্ধে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত আলোচনা শেষে মন্তব্য করেন: এ অগ্রগতি অক্ষুণ্ন থাকলে ভবিষ্যতে আমরা জীবনের সর্বস্তরে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব বলে যথেষ্ট আশাবাদী (পৃ.৪৫)। ‘বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ’ প্রবন্ধ পাঠে পাঠক জানবেন যে ভাষাবিজ্ঞানীরা যথার্থই বলে থাকেন, মানুষ মাতৃভাষার মতো ভালো করে অন্য কোনো দ্বিতীয় ভাষা শিখতে পারে না, তা সে ভাষা শেখার জন্য যত সময়ই দিক না কেন। তাঁর মতে, আনন্দের প্রাপ্তি এবং প্রয়োজনের অর্জনের মধ্যে পার্থক্য থাকবেই। তাই দ্বিতীয় ভাষা শেখাবার জন্য মাতৃভাষা ভোলাবার প্রয়োজন নেই। বিশ্বব্যাকরণ তত্ত্বের প্রবক্তা মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী চমস্কিও প্রমাণ করেছেন পৃথিবীর সকল ভাষার ব্যাকরণ মূলত একই। একটি ভাষা শেখা হলে যেকোনো ভাষা শেখানো সহজ। সেকারণে আঞ্চলিক ভাষা বা উপভাষা বলে কোনো ভাষাকেই অবহেলা করা উচিত নয়।

আঞ্চলিক ভাষা বা স্থানীয় উপভাষার সাথে প্রমিত বাংলা উপভাষার সম্পর্ক নিয়ে বিশদ আলোচনা আছে ‘ভাষা, উপভাষা ও বিশ্বমনন’ নামক প্রবন্ধে। এখানে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন কীভাবে কোনো অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা আবার ভাষার মর্যাদা লাভ করে, যখন সেই অঞ্চলটি রাজনৈতিক ঐতিহাসিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রতিবেশী অপরাপর ভাষাগুলোকে সে ভাষার উপভাষা হিসেবে গণ্য করা হয়। এর আলোকেই তাঁর পর্যবেক্ষণ: ‘চট্টগ্রামের সকল কাব্যধারা পরীক্ষা করেও দেখতে পাই চট্টগ্রামের কাব্যবিষয় ও ধারা নিখিল বঙ্গীয় বাংলা সাহিত্যের কাব্যধারারই সমান্তরাল (পৃ.৪৫)। এই প্রবন্ধ থেকে জানা যায় ২০০৬ খ্রি. সিলএর দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ভাষাউন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শক লেডি সুজান ম্যালোন চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনকে কিছু প্রশ্নমালা দিয়ে প্রমাণ দেখান যে, ‘চট্টগ্রামী বাংলা অবক্ষয়ের প্রক্রিয়ায় নিপতিত এবং কোন না কোন সময়ে এটি অবলুপ্ত হয়ে যাবে’। তাঁর এই বক্তব্যের সূত্র ধরে চাটগাঁ ভাষা পরিষদের জন্ম (পৃ.৭২)। ‘চাটগাঁ ভাষা ও ভাষা উন্নয়নের ব্যাংকক মহাসম্মেলন’ প্রবন্ধে তিনি লেখেন, চাটগাঁর এই ভাষাটিকে ভালোবাসেন তেমন লোকের হয়তো অভাব নেই। রূপ না থাকলে ভালোবাসা হয় না। রূপই তো ভালোবাসাকে জাগিয়ে দেয় (পৃ.৭৬)। অনুমান করা যায় একারণেই চাটগাঁ ভাষা পরিষদ তাঁদের মাতৃভাষাটি ভাষা না উপভাষা এই বিতর্কে না জড়িয়ে দুই দিনে দুটি সেমিনারের আয়োজন করে এবং সেমিনারে পঠিত প্রবন্ধ ও আলোচনা নিয়ে প্রকাশ করে চাটগাঁ ভাষার রূপপরিচয় (২০১২) গ্রন্থ। ‘চাটগাঁ ভাষার ইতিহাস অন্বেষা’ প্রবন্ধে লেখক বলেন, ‘যতটা দুর্বোধ্যই হোক না কেন, এটি আর্যভাষাই’ (পৃ.৮৫)। ‘চাটগাঁ ভাষার রূপ পরিচয়’ প্রবন্ধে আছে চাটগাঁ ভাষার একটি সংক্ষিপ্ত রূপরেখা অঙ্কনের প্রয়াস। ‘চট্টগ্রামী বাংলার ধ্বনিবিচার’ প্রবন্ধে আইপিএ দিয়ে দেখানো হয়েছে এ ভাষার স্বরধ্বনিমূল ছয়টি এবং ব্যঞ্জনধ্বনিমূল সতেরোটি। ‘চট্টগ্রামী বাংলার বানানরীতি’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক চট্টগ্রামী বাংলার বানানরীতি প্রণয়নের নীতিমালা প্রস্তাব করে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, লিপি কোনো ভাষাতেই শতভাগ উচ্চারণভিত্তিক হয় না (পৃ.১০৭)। ‘চট্টগ্রামী বাংলার একটি অভিধান’ প্রবন্ধটি নূর মোহাম্মদ রফিক প্রণীত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান (২০০১) বইয়ের আলোচনা। ‘ভাষার নিয়ম শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে’ প্রবন্ধটিতেও মূলত চট্টগ্রামের ভাষার কিছু সূত্রসন্ধানের প্রয়াস দেখা যায়। পরিশিষ্টএ সংকলিত ‘অভিমত’ আসলে প্রাবন্ধিকের একটি সাক্ষাৎকার। তবে এর গ্রহীতা ও গ্রহণকাল বইয়ে অনুপস্থিত। পরিশিষ্টএ সংকলিত ‘মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌ : একটি ব্যক্তিত্বের মূল্যায়ন’ মূলত ড. মুহম্মদ এনামুল হক রচিত ইংরেজি প্রবন্ধের লেখককৃত অনুবাদ। পরিশিষ্ট দুটিও ভাষা বিষয়ক ভাবনাকে প্রাণিত করে।

ভাষার প্রচলন, ভাষাভিত্তিক জাতীয়তার উন্মেষ, ভাষার বিলুপ্তি, ভাষার রূপপরিচয় অনুসন্ধান, রাষ্ট্রভাষা, উপভাষা, আঞ্চলিক ভাষা ও প্রমিত ভাষা এবং ভাষা বিষয়ক আরও বিবিধ ভাবনা সহজপ্রাঞ্জল ভাষায় প্রবন্ধগুলোতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সর্বোপরি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাপ্রেমী একজন ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপকের ভাবনাকে জানতে ও বুঝতে এই বই বেশ দরকার বৈকি। গবেষকদের পাশাপাশি সাধারণ পাঠকও বইটি পড়ে আনন্দ পাবেন আশা করি। সুন্দর প্রচ্ছদ আর মজবুত বাঁধাইয়ের বইটি পাঠককে বাঙালির আবহমান লোকভাষা লালনে উদ্বুদ্ধ করবে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক (বাংলা),সিইউএ কলেজ,চট্টগ্রাম

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রয়াত ৩৫ সদস্যের স্মরণে ফুলকোর্ট রেভারেন্স ও শোকসভা
পরবর্তী নিবন্ধফুলের সৌরভ