মাধ্যমিক পর্যায়ের শিশুকিশোরদের পরিবর্তিত পাঠ্যক্রম নিয়ে ধোঁয়াশা আর তর্ক–বিতর্ক চলছে কয়েক বছর ধরে। শোনা যাচ্ছে প্রাথমিকেও শীঘ্রই বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। শিশুদের শিক্ষার মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে অনিয়ম, অদক্ষতা ও অসামঞ্জস্যকে সঙ্গে নিয়ে একুশ শতক পাড়ি দিচ্ছি আমরা। সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক সমাজ মাঠে আছেন বছরের বেশি সময় ধরে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা নতুন করে আন্দোলনে নেমেছে বৈষম্যমূলক কোটাপ্রথার বিরুদ্ধে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কোটার প্রচলন মেধাবীদের এগিয়ে যাওয়ার পথে বড় প্রতিবন্ধক। এর ফলে কেবল পরীক্ষার্থীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা নয়। অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী ও অযোগ্যদের হাতে দেশগঠনের নেতৃত্ব ও ক্ষমতা অর্পিত হওয়ার মুল্য সমগ্র জাতিকেই দিতে হয়। রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাজপথকেই ঠিকানা বানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে চলছে শিক্ষক সমাজের মর্যাদাহানি ও আর্থিক অবনমনের অভিযান। বিশেষত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে খলনায়ক হিসেবে উপস্থাপনের এক বীভৎস খেলায় মেতেছে সমাজ। ফলাফল, শ্রেণীকক্ষে তালা। উত্তাল দেশ।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদেরকে পথে রেখে নীতিনির্ধারকগণ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখান জাতিকে। উদ্ভূত কোন জটিলতা নিরসন বা সমস্যা থেকে উত্তরণের কোন ইচ্ছে কারও আছে বলে মনে হয়না। বরং জটিলতা ও সমস্যার ডাল পালা বানিয়ে, জল ঘোলা করে কুৎসিত খেলায় মেতে উঠতেই তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সমাজের সকল স্তরে সুপরিকল্পিতভাবে ঘৃণার বীজ বপন করার এক মহোৎসব লেগেছে সর্বত্র। ইত্যবসরে দুর্নীতিপরায়ন রাঘববোয়ালদের থলের বেড়াল বেরিয়ে আসার পরও বেড়ালকে চটপট থলেতে পুরে ঘুম পাড়িয়ে রাখার একটা সুবর্ণ সুযোগও মিলে যায়।
মানব সভ্যতা ইতিহাসের অনেকগুলো যুগ পাড়ি দিয়ে একুশ শতকে পা দিয়েছে। শতসহস্র বছরের অন্ধকার যুগের (এইজ অব ডার্কনেস) শেষে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম জাতি হিসেবে একে একে ভৌগোলিক ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের যুগ, যুক্তির যুগ, বুদ্ধিবৃত্তির যুগ, পুনর্জাগরনের যুগের হাত ধরে অভূতপূর্ব ঐশ্বর্য লাভ করে মানবজাতি। পৃথিবীর সকল মহাদেশের সকল রঙের মানুষদেরই অবদান আছে এই অগ্রগতিতে। ঐশ্বর্যের উত্তরাধিকার তাই সকলেই। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিস্ময়কর অগ্রগতি বিশ্বজগতটাকে আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যে কোন বার্তা বা তথ্য পৌঁছে যায় চোখের পলকে। কিন্তু অবাক বিস্ময়ে মানবজাতি লক্ষ করছে, দ্রুততম সময়ে বার্তা আদান প্রদানের এই অভিনব পন্থা আবিষ্কারের পর থেকে ভালোবাসার চেয়ে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ঘৃনা। সত্য, মানবতা, সহিষ্ণুতার বিপরীতে জয়যুক্ত হয়ে যাচ্ছে মিথ্যা, অমানবিকতা আর অসহিষ্ণুতা। সবকিছু ছাপিয়ে ঘৃণার রাজত্ব বিরাজ করছে আন্তর্জাতিক, জাতীয়, স্থানীয় থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে। সভ্যতার এই প্রহসন বড় নগ্নভাবে ধরা দিয়েছে ‘অনেক দাম দিয়ে কেনা’ আমাদের বাংলাদেশে।
গত শতাব্দীর শেষের দিকে নবীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বমানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। এক সাগর রক্ত, অশ্রু, আর ধ্বংসকে সাক্ষী রেখে সমতা আর ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে দেশটি যাত্রা শুরু করেছিল সেদিন। দুর্গম সেই যাত্রাপথে শিশুরাষ্ট্রটি বারবার হোঁচট খায়, আবার ঘুরে দাঁড়ায়। পৃথিবীর বাদবাকী বিপ্লব ও স্বাধীনতা সংগ্রামের মতোই আমাদের বিপ্লবও সর্বাঙ্গীন সফল হয়েছে, বলা যাবেনা। দিন বদলের স্বপ্ন দেখিয়ে জননেতাগণ ক্রমে ক্রমে জনতার কাতার হতে সরে গিয়ে প্রভুর আসনে বসে পড়েন, এবং কাগজে কলমে ঔপনিবেশিক ব্যবস্থাকেই বাঁচিয়ে রাখেন। রক্ত, অশ্রু, ধ্বংস আমাদের পিছু ছাড়েনা। প্রাপ্তির খাতায় তাই বলে যোগফলও শূন্য থাকেনা, যদিও প্রাপ্তিটা আসে মূলত লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের শ্রম, ঘাম আর রক্তের বিনিময়ে।
ইতিহাস বলে দেশ গঠন ও পরিচালনার প্রাথমিক পর্যায়ে রাজনৈতিক বিভাজন ও দুর্বৃত্তায়ন, পুনঃ পুনঃ রক্তপাত, পালাবদল আর সর্বস্তরে দুর্নীতির বিস্তার অস্বাভাবিক কিছু নয়। ফরাসী জাতিকে তাদের বিপ্লবের সুফল পেতে অন্তত শতবছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আজকের পরাশক্তি মার্কিন জাতির অপেক্ষার প্রহরও শতাব্দী পেরিয়েছিল। যদিও নিজ নিজ দেশের সীমানায় আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার প্রতিষ্ঠার পর অচিরেই অন্য জাতি সমূহের আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার কেড়ে নেওয়ার খেলায় মেতে ওঠে তারা, যা প্রকারান্তরে বিপ্লবের বাণীকেই হত্যা করে, এবং পৃথিবীকে বার বার মহাযুদ্ধের দিকে ধাবিত করে। তাই বলে বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যায়না। বিপ্লবের ইতিহাস শত সহস্র বছর ধরে পথ দেখায় নিপীড়িত জনতাকে। ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয় পতিত স্বৈরাচার। ফিনিঙ পাখির মতো জেগে ওঠে মৃতপ্রায় জাতির প্রাণ। অন্ধকার সুড়ঙ্গ পেরিয়ে দেখা যায় আলোর রেখা, যেখানে বাতিঘর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন শিক্ষক।
শিক্ষকের এমনই প্রতিকৃতি আঁকা বুকের গভীরে। শৈশব কৈশোর তারুন্যে শিক্ষক হিসেবে যাঁদের পেয়েছি তাঁদের পাণ্ডিত্য, ব্যক্তিত্ব, সততা, মহানুভবতায় আকৃষ্ট হয়ে, শিক্ষকতা আর্থিকভাবে লাভজনক পেশা নয় জেনেও নিজের অজান্তে শিক্ষক হওয়ার বাসনা জাগে। অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে, চোখের জল নাকের জলে একাকার হয়ে একদিন আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আনন্দের বন্যা বয়ে যায় পরিবারে। আত্মীয়–পরিজন, বন্ধু–বান্ধব ও পাড়া প্রতিবেশীর অভিবাদনে আপ্লুত হন বাবা–মা। স্বপ্ন পূরণ ও সামাজিক মর্যাদার গৌরব সঙ্গে নিয়ে দুই দশকের এই পথ চলা প্রতিদিন কুসুমাস্তীর্ণ ছিলনা। তবে জাগতিক বাধাবিঘ্নকে কখনোই বড় সমস্যা বলে মনে হয়নি। দৃপ্ত পায়ে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশের উত্তেজনা, এক ঝাঁক কৈশোর উত্তীর্ণ অনুসন্ধিৎসু শিক্ষার্থীর (যাদের আমি নাম দিয়েছি ‘আলোর পাখি’) সামনে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়া– সবই যেন একেকটা অলৌকিক অনুভূতি। অনেকটা স্বপ্নের মতো। এই স্বপ্নই তাড়িয়ে নিয়ে আসে উন্নত বিশ্বে থিতু হওয়ার হাতছানি উড়িয়ে দিয়ে।
স্বপ্নচারীর স্বপ্ন ভঙ্গ হয় আজকের সমাজের তির্যক ফোঁড়নে। দীর্ঘ বাইশ বছর পর আত্মীয় প্রতিবেশীর মুখে শুনতে হয়, ‘কাজে না গিয়ে বেতন নেবেন। আপনার এ আয় কি বৈধ হবে?’। সবাই কেবল বেতন নেওয়াটাই দেখে, বুকের ভেতরের রক্তক্ষরণ কেউ দেখেনা। বেতন–ভাতা যে একজন কর্মজীবীর অধিকার, কারও দান বা অনুগ্রহ নয়, একথাও কেউ মনে রাখেনা। শুনেছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘৃণার জোয়ার বইছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে। ঘৃনার রাজ্যে বিষের ছড়াছড়ি। শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে যাননা, পদ পদবীর লোভে দলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন– এরকম অসংখ্য অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। শৈশবের পড়া ‘শিক্ষকের মর্যাদা’ কবিতার স্রষ্টা কাজী কাদের নেওয়াজ একুশ শতকের বাংলাদেশে আবির্ভুত হলে, তাঁর কলম দিয়ে হয়তো এমন কবিতা রচিত হতো না। মর্যাদাটাই যে আমাদের শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় সম্পদ।
বড় বেদনার সঙ্গে বলতে হচ্ছে– সমাজের ঘৃণা অর্জনে শিক্ষকদের কারও কোন দায় নেই, দৃঢ় কণ্ঠে তা বলা যায়না। আমাদের কিছু শিক্ষক কোন না কোন রাজনৈতিক দলের পোশাক ও রঙ ধারণ করেছেন এবং রাজনৈতিক নেতা ও উপনেতাদের অনুগ্রহ নিয়ে আর্থিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ার পণ করেছেন। এতো কিছু করতে গিয়ে বই খাতার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। শ্রেণীকক্ষে যাওয়ার সময় সুযোগও তাই তাঁদের খুব একটা মেলেনা।
অপরদিকে একথাও সত্য যে অল্প কিছু সংখ্যক শিক্ষকই ওপরে বর্ণিত পথে হাঁটতে শুরু করেছিলেন। ওপরমহলে তাঁরা নন্দিত ও পুরস্কৃত হওয়ায় সংখ্যাটা ক্রমে বাড়তে শুরু করেছে, এবং ‘বিদ্যায়তনিক অসততা’ দুরারোগ্য ব্যাধির মতো আক্রান্ত করেছে আমাদের শিক্ষা কে, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। তারই প্রতিক্রিয়া হিসেবে পঁচন ধরেছে সমাজ মানসে। এখন আর দুর্বলকে রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনা, বরং দুর্জনের সুরক্ষায় সকল ব্যবস্থা বিদ্যমান। শিক্ষকদের মাঝে সততা আর নিষ্ঠা যাঁদের পাথেয় তাঁরা দলছুটের মতোই অপাংক্তেয়। তদুপরি এখন পর্যন্ত তাঁরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ, যাঁদের দিকে তাকিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখা যায়। কিন্তু জনপ্রতিনিধিগনের বয়ানে, এবং গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অপদস্থ ও আক্রমন করার যে প্রতিযোগিতা চলছে, তা দেখে আতংকিত হতে হয় এই ভেবে যে, মেধাবী শিক্ষার্থীরা হয়তো ভবিষ্যতে শিক্ষকতায় আসতে আগ্রহী হবেনা। দেশে বিদেশে লেখাপড়া করে নিশ্চয়ই সজ্ঞানে কেউ সামাজিক ও আর্থিকভাবে নিগৃহীত হওয়ার এই ঝুঁকি নেবেনা। সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে অন্ধকার নেমে আসার পরিণতি যে কোন প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক দুর্যোগের চেয়ে ভয়াবহ হতে পারে।
কয়েকদিন আগে খবরের কাগজে বাংলাদেশ টেলিভিশনের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্মৃতিকথা প্রকাশিত হয়েছিল দুই কিস্তিতে। একঝাঁক মেধাবী ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীর ভালোবাসায় পরাধীন রাজধানীর বুকে তিল তিল করে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীন দেশের মাটিতে ঘুনে ধরতে ধরতে কেমন করে ধসে পড়েছে, তার অকাট্য বর্ণনা রয়েছে আলোচ্য নিবন্ধে। রাজনীতিবিদ এবং সরকারী ও বেসরকারি নানা পর্যায়ের স্বনামধন্য উচ্চপদস্থ ব্যক্তিগণ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অনেক অযোগ্য ব্যক্তিকে সংবাদ পাঠক, উপস্থাপক এমনকি শিল্পী বানিয়ে ছেড়েছেন (৮ ও ৯ জুলাই; দৈনিক প্রথম আলো)। নিবন্ধটি পাঠ করতে গিয়ে একটা কথা মনে হচ্ছিল– শিল্পের সঙ্গে অসাধুতা আর প্রতারণা একেবারেই যায়না। একই কথা প্রযোজ্য শিক্ষার ক্ষেত্রে। বইতে পড়েছি শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। যে সমাজে শিক্ষা ও সংস্কৃতি হাত ধরাররি করে চলে সে সমাজ আলোকিত হয়। কিন্তু আমাদের শিক্ষার হার অনেক উন্নত দেশের চেয়ে বেশী হওয়া সত্ত্বেও সমাজে এখন অসাধুতা ও প্রতারনার জয়জয়কার। নগরে আগুন লাগলে দেবালয় যেমন সুরক্ষিত থাকেনা, তেমনি সমাজের পচন শিক্ষা ও শিল্পকেও ছাড় দেয়না।
এর জন্য কেবল এক বা একাধিক ব্যক্তি বা কোন একটি গোষ্ঠীকে দায়ী করে গা বাঁচিয়ে চলার সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গিয়েছে। সমাজের সর্বত্র অবাধে ঘৃনার চাষ দেশের প্রতিটি মানুষকে পরস্পরের প্রতিপক্ষের ভূমিকায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এই দুঃসময় ঘনিয়ে আসার পেছনে নিরক্ষর নয়, প্রতিটি শিক্ষিত নাগরিকই কোন না কোন ভাবে দায়ী। কেউ অন্যায় করেছে, কেউ অন্যায় সয়েছে। আমরা কেউই তাই দায় এড়াতে পারিনা। যুক্তিতর্কের মারপ্যাঁচ দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করে বিজয়ের স্বাদ লাভ করার প্রবণতা আমাদেরকে পরিত্যাগ করতে হবে। আমাদের সন্তানদের স্বার্থে, আগামীর বাংলাদেশের স্বার্থে আমাদেরকে কিছু বিষয়ে একমত হতেই হবে। সেই অবিতর্কিত বিষয়গুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে শিক্ষার স্থান সবার ওপরে।
লেখক : অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়