সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিভিন্ন নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার কুমিল্লার আবু সোলেমান মো. সোহেলকে এলাকার মানুষ চেনেন ‘কোটিপতি’ হিসেবে। তার আয়ের উৎস নিয়ে স্থানীয়দের মনে প্রশ্ন থাকলেও এলাকায় জনশ্রুতি আছে, বিদেশে কোনো এক লটারি পেয়ে বড় ব্যবসায়ী বা কোটিপতি বনে গেছেন সোহেল। খবর বিডিনিউজের।
সর্বশেষ প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় রাজধানীতে ১৭ জনের সঙ্গে সোহেলের গ্রেপ্তারের খবরে তাই হতবাক হয়েছেন তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের বানাশুয়া গ্রামের বাসিন্দারা। ৩৫ বছরের সোহেলকে গত কয়েক বছর ধরেই ঢাকার মিরপুরের বড় ব্যবসায়ী হিসেবে জানলেও তার প্রশ্নফাঁসের অপকর্ম সম্পর্কে আন্দাজও করতে পারেননি স্থানীয়রা।
বানাশুয়া গ্রামের আবদুল ওহাব ওরফে ওহাব বিএসসির তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সোহেল সবার ছোট। আবদুল ওহাব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সোহেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ থেকে স্নাতক শেষ করেছেন। সোহেলদের গ্রামের বাড়ির আশপাশের অন্তত পাঁচ বাসিন্দা জানান, গ্রামে বড় কোনো ভবন নির্মাণ করেননি সোহেল। একতলা একটি পাকা বাড়ি রয়েছে; সেটিও অনেক আগে নির্মাণ করা। ওই ভবনে বর্তমানে সোহেলের এক ভাই তার পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা গ্রামের বাড়িতে থাকেন না। কয়েক বছর ধরে মাঝেমধ্যে সোহেল ঢাকা থেকে বাড়িতে এলেও গ্রামের মানুষের সঙ্গে তেমন মিশতেন না। ‘কোটিপতি হিসেবে ভাব’ দেখাতেন তিনি।
প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে সোহেলের গ্রেপ্তারের খবরে আশ্চর্য হয়েছেন বলে জানান কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হকও। তিনি বলেন, ‘সোমবার ঘটনাটি শুনে আমি অবাক হয়েছি। এতোদিন জানতাম সোহেল ঢাকায় বড় ব্যবসা করতো। এলাকায় এলে তিনি একা একা চলাফেরা করতেন। এখন তো জানলাম প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে জড়িয়ে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে যেহেতু আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তদন্ত করছেন, আশা করি তদন্তের মাধ্যমে সব বেরিয়ে আসবে।’