ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে দুই জায়ান্ট ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ১০ জুলাই, ২০২৪ at ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ইউরোপের ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসর উইরো চ্যাম্পিয়নশীপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ নেদারল্যান্ডসের মোকাবেলা করবে ইংল্যান্ড। প্রথমবারের বিদেশের মাটিতে বড় কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলতে হলে ইংল্যান্ডকে পেরুতে হবে ডাচ বাধা। টানা দ্বিতীয়বারের মত ইউরোর ফাইনালে খেলার সুযোগ ইংলিশদের সামনে। তিন বছর আগে নিজেদের মাঠ ওয়েম্বলিতে ইতালির কাছে পেনাল্টিতে হেরে প্রথমবারের মত ইউরোকাপের শিরোপা জলে সুযোগ হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। ইংলিশদের ফুটবলে সাফল্য বলতে সেই ১৯৬৬ বিশ্বকাপের শিরোপা। সেই থেকে ৫৮ বছর পার হয়ে গেলেও কোন শিরোপা জিততে পারেনি থ্রি লায়নরা। তাই ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের দলের সামনে এখন ৫৮ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর বড় সুযোগ। সাউথগেটের অধীনে সামপ্রতিক সময়ে নিজেদের দারুনভাবে প্রমান করার কারনেই জার্মানিতে আসার আগে তাদের গায়ে ফেবারিটের তকমা লেগে গিয়েছিল। শেষ চারে পৌঁছাতে অবশ্য তাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। স্লোভাকিয়া ও সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে বিদায়ের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছিল ইংল্যান্ড। জুড বেলিংহাম ও বুকায়ো সাকার একক কৃতিত্বে দুইবার ইংল্যান্ড রক্ষা পায়। কিন্তু দল হিসেবে এখনো সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি সাউথগেটের শিষ্যরা। স্লোভাকিয়ার সাথে অতিরিক্ত সময়ে ও সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টিতে জিতেছিল ইংল্যান্ড। ঐ ম্যাচগুলোতে ব্যক্তিগত পারফরমেন্সের সুবাদে জয় পাওয়া ইংল্যান্ডকে ফাইনালে যেতে হলে অবশ্যই একতাবদ্ধ হয়ে খেলতে হবে। এখনো পর্যন্ত আসরের কোন ম্যাচেই ইংল্যান্ড তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেনি। যদিও ইংলিশ বস বড় আসরে তার জয়ের রেকর্ড ঠিকই ধরে রেখেছেন।

সাউথগেটের অধীনে এনিয়ে ইংল্যান্ড চারটি বড় টুর্নামেন্টের তৃতীয় সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। আট বছর আগে এই দলটির দায়িত্ব নেবার পর সাউথগেট এভাবে নিজের ভবিষ্যত এগিয়ে নিয়ে গেছেন। যদিও সাউথগেটকে এই দীর্ঘ যাত্রায় সমালোচানাও কম শুনতে হয়নি। এবারের আসরেও স্লোভেনিয়ার সাথে গ্রুপ পর্বে গোলশুন্য ড্র করার পর সমর্থকদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে ইংলিশ বসকে। অসম্ভব প্রতিভাবান একটি দলকে পেয়েও নেতিবাচক কৌশলের কারনেই সাউথগেট বারবার সমালোচিত হয়েছেন। ইংলিশ কোচ বলেন বিষয়গুলো যখন ব্যক্তিগত ভাবে আসে তখন অবশ্যই খারাপ লাগে। আমি এগুলো অস্বীকার করছি না। ম্যাচের ফলাফল মন:পুত না হলেও এমন হতে পারে। যদিও অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল না। এটাও মনে রাখতে হবে চারটি বড় আসরের তৃতীয় সেমিফাইনাল খেলছি আমরা। আমি বিশ্বাস করি এর মাধ্যমে আমরা সমর্থকদের দারুন কিছু স্মৃতি উপহার দিয়ে যাচ্ছি। এভাবেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই। আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো একইসাথে এই মুহূর্তগুলো উপভোগও করবো। অন্যদিকে কোচ নরোনাল্ড কোম্যানের দল রনদারল্যান্ডস শেষ ষোলতে রোমানিয়াকে ৩০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের সেরা পারফরমেন্স দেখিয়েছে। বার্লিনে অবশ্য তুরষ্কের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে পিছিয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত ২১ গোলের জয় পায়। প্রিমিয়ার লিগের তারকাদের বিপক্ষে মাঠে নেমে নেদারল্যান্ডসকে কিছুটা হলেও নার্ভাস মনে হতে পারে। নেদারল্যান্ডসের যেসব খেলোয়াড়রা ইংলিশ শীর্ষ লিগে খেলে থাকে তারা স্বাভাবিক ভাবেই নিজেদের এগিয়ে নেবার লড়াইয়ে মেতে উঠবে। টটেনহ্যামের ডাচ ডিফেন্ডার মিকি ফন ডি ভেন যেমন বলেছেন উভয় দলের খেলোয়াড়দের মান দেখতে গেলে এই ম্যাচটি ছন্দ ও প্রতিভার দিকে থেকে দারুণ একটি ম্যাচ হতে যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধআইসিসির মাস সেরা বুমরাহ ও মান্ধানা