রাঙামাটি জেলা শহরের চম্পকনগর এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের চম্পকনগর বিপিডিবি রেস্ট হাউজের সামনে ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তির নাম বাচ্চু মিয়া (৫০)। সে পৌর এলাকার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকলেও মূলত সে মাগুরা জেলার বাসিন্দা। ২০–২৫ বছর থেকে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ নেই তার। বাচ্চু মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জেনেছে পুলিশ। গণপিটুনির পর পুলিশ তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাচ্চুকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, গণপিটুনির শিকার বাচ্চু মিয়া ভাঙাড়ি মালামাল বেচাকেনা করেন। রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ওসি মুহাম্মদ আলী বলেন, আটক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা তদন্ত করে জেনেছি সে মাগুরা জেলার বাসিন্দা এবং দীর্ঘ ২০–২৫ বছর ধরে তার সঙ্গে পরিবারের কোনও যোগাযোগ নেই। ব্যক্তিগত জীবনেও অবিবাহিত। আমরা এ ব্যাপারে আরও তদন্ত করছি, তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার (এসপি) মীর আবু তৌহিদ জানান, ‘চম্পকনগর এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এক সন্দেহভাজন আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। আহত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থানায় আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
এদিকে, গুজব প্রতিরোধে এসব বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে যাচাই–বাছাই করা ও সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
প্রসঙ্গত কয়েকবছর আগে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।