রাতে লেখাপড়া করে ঘুমিয়ে পড়ে মো. হাবীবুর রহমান (৯)। সকালে স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। হঠাৎ আগুন দেখে চিৎকার করে মাকে বলেন। মা ছেলেকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। চোখের সামনে আগুনে তার বই পুড়ে যাচ্ছে। আগুন নিভে গেলে পুড়ে যাওয়া বইয়ের স্তূপের পাশে বসে কান্না করতে থাকেন হাবীব।
পূর্ব আমুচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সে। মা তানজিনা আকতার মানুষের বাসায় কাজ করে কোন রকম ছেলেকে মানুষ করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুনে তাদের ঘরসহ ১১ টি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। বোয়ালখালী উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড বক্কর চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় মৃত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে খতিজা বেগম (৫৫), মৃত শামসুদ্দিনের সেলিম উদ্দিন (৪৫), মোরশেদুল আলম (৩৮), এরশাদুল আলম (৩৫), জামশেদুল আলম (৩২), মনজুর ইসলাম (২৮) মৃত নুরুল আমিনের ছেলে আবদুল আওয়াল (৩৮), রবিউল হাসান (৩০), আবদুর রহিম (৩০), মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী খানিজ ফাতেমা (৪৮), ও মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে ইউচুপের (৬০) ঘর পুড়ে যায়। স্থানীয়রা এক ঘণ্টা আগুন নিভানোর চেষ্টা করে পরে সাড়ে বারোটার দিকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্ত খতিজা বেগম বলেন, আমরা কেউ ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারি নাই। এক কাপড় নিয়ে বের হয়ে গেছি ঘর থেকে। ১১টি পরিবারের প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান বলেন, দুটি ইউনিট দেড় ঘণ্টা কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।