নারীকণ্ঠের আয়োজনে মোহছেনা ঝর্ণার গল্পগ্রন্থের আলোচনা

| মঙ্গলবার , ৯ জুলাই, ২০২৪ at ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ

তরুণ গল্পকার মোহছেনা ঝর্ণার গল্পে সমসাময়িক নানা ঘটনা, পারিবারিক সম্পর্কের খুঁটিনাটি, শিশুনিগ্রহ ইত্যাদি বিষয় চমৎকারভাবে উঠে এসেছে। প্রাঞ্জল ও সুখপাঠ্য গদ্যে লেখা তার গল্প পাঠকদের ভালো লাগবে, আশা করি।’

গত শনিবার কদম মোবারকস্থ নারীকণ্ঠ পত্রিকা আয়োজিত গল্পকার মোহছেনা ঝর্ণার ‘তখন আমরা ঘুমাইনি’ গল্পগ্রন্থের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে একথা বলেন কবি ও প্রাবন্ধিক হাফিজ রশিদ খান।

বইটি নিয়ে আলোচনায় আরও অংশ নেন নারীকণ্ঠের উপদেষ্টা ও লেখক সালমা রহমান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গল্পের জন্য বিষয় নির্বাচন ও বৈচিত্র্যময়তা বইটিকে ঋদ্ধ করেছে। অনেক গল্পে শৈশবকৈশোরের নস্টালজিয়া পাঠককে স্পর্শ করবে।

নারীকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক শাহরিয়ার ফারজানার সভাপতিত্বে ও কবি আখতারী ইসলামের উপস্থাপনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও শুভেচ্ছা বক্তব্য উপস্থাপন করেন যথাক্রমে নারীকণ্ঠের উপদেষ্টা রোকসানা বন্যা ও সদস্য রুমা দাশ।

গল্পকার মোহছেনা ঝর্ণা তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, লেখালেখি বা যেকোনও শিল্পকর্ম একার কাজ। বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমরা মিশি, কিন্তু যখন লিখতে বসি তখন সমস্ত বোঝাপড়া হয় নিজের সঙ্গে। এখানে আমি নিঃসঙ্গ। চাকরিবাকরি, পারিবারিক ব্যস্ততা ইত্যাদি নানা কারণে লেখালেখির সময়সুযোগ কমে এসেছে ইদানীং, তবু চেষ্টা করি ভালো কিছু লিখতে। আমি চাই আমার পরবর্তী বইটি যেন ঠিক এ বইয়ের মতো না হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারীকণ্ঠ পত্রিকার উপদেষ্টা ও সদস্য জিনাত আজম, জান্নাতুল ফেরদৌস, বিচিত্রা সেন, শর্মিষ্ঠা চৌধুরী, সাহানা আখতার বীথি, চম্পা চক্রবর্তী, সাহীনুর আকতার, তৃষা দে প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবানের থানচিতে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিশোরীর আত্মহত্যা