চট্টগ্রামে রথযাত্রা, বর্ণিল আয়োজন

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৮ জুলাই, ২০২৪ at ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি, মঙ্গলপ্রদীপ পূজার নৈবদ্য সহকারে রথযাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ঢোলের বাজনার সঙ্গে শোভাযাত্রায় বিভিন্ন পৌরাণিক সাজের মাধ্যমে আবহমান বাংলা ও পৌরাণিক বিভিন্ন চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হয় উৎসবে। সুসজ্জিত রথে বসা ছিলেন শ্রী জগন্নাথসুভদ্রা ও বলভদ্র দেব। দড়ি টেনে সেই রথ এগিয়ে নেন ভক্তরা।

প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, রথের দড়ি ধরে যিনি টান দেন তার মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়, তিনি ভগবানের বিশেষ কৃপা লাভ করেন। প্রতিবছরের মতো এবারও ৭ জুলাই বিকেলে নগরীতে তিন মন্দির থেকে রথ বের হয়।

ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের রথযাত্রা : সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিয়ে এবং তাদের সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ এমপি। গতকাল বিকাল ৪টায় নগরীর প্রবর্তক মোড়ে ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের উদ্যোগে আয়োজিত রথযাত্রায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীস্টান সকলের মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে এবং আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করেছে। একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে জন্মলাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সেই চেতনাকে ধারণ করে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। কিন্তু মাঝে মাঝে স্বার্থান্বেষী মহল ও ধর্মান্ধরা আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে আঘাত করার চেষ্টা করে। আমাদের সরকার সব সময় এই অপশক্তিকে দমন করেছে। যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছে তাদেরকে রুখে দিয়েছে। আজকের এই অনুষ্ঠানে জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের উপস্থিতি এটাই প্রমাণ করে আমাদের দেশ কত অসাম্প্রদায়িক। আমি ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরকে অনুরোধ করবো আপনারা এই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ছড়িয়ে দিবেন এবং যে চেতনা ধারণ করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা সেই চেতনাকে সবসময় বুকে ধারণ করে এগিয়ে চলবো।

রথযাত্রা উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী। উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বিশেষ আলোচক ছিলেন শ্রী শ্রী পুন্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক দারু ব্রহ্ম জগন্নাথ দাস ব্রহ্মচারী। ঐক্যবদ্ধ সনাতন সমাজের সমন্বয়ক সাংবাদিক বিপ্লব পার্থের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশেপদকপ্রাপ্ত বরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. জিনোবোধি ভিক্ষু, বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখর বিশ্বাস, কাউন্সিলর মোরশেদ আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড.কুশল বরণ চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ আচার্য্য, স্বামী অদ্বৈতানন্দ যোগাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীমৎ স্বামী অক্ষরানন্দ পুরী মহারাজ, শ্রী শ্রী শ্মশান কালী মাতৃ সেবাশ্রম ও গীতা শিক্ষাকেন্দ্রের অধ্যক্ষ স্বামী পরিতোষানন্দ গিরি মহারাজ প্রমুখ।

ভোরে মঙ্গলারতির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানমালার শুভ সূচনা হয়। বিকাল ৫ টায় রথযাত্রার বর্ণাঢ্য মহাশোভাযাত্রা প্রবর্তক মোড় থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিনেমা প্যালেস প্রাঙ্গণে সমাপ্ত হয়। শোভাযাত্রায় চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের অংশগ্রহণের পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন নামহট্ট, ভক্তিবৃক্ষ, ইয়ুথ ফোরাম, গীতা প্রচার বিভাগ, জাগ্রত ছাত্র সমাজ, সংর্কীতন, ফুড ফর লাইফ, নিত্যসেবা, সনাতন বিদ্যার্থি সংসদ, জাগো হিন্দু পরিষদ, শারদাঞ্জলি ফোরাম, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ, রাধা বিনোধ, ভ্রাম্যমাণ গীতা প্রচার সংঘ, ঋষি মতিলাল স্মৃতি সংসদ, বিশ্ব সনাতন ঐক্য, জাতীয় হিন্দু মহাজোট, সনাতন সংগঠন, ইউএসটিসি, মেডিকেল সার্ভিস টিম, বাংলাদেশ সনাতনী গণ জাগরণ মঞ্চ, কোজাগরী পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদ, শারদাঞ্জলী ফোরাম সহ ১৭০ টির অধিক বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক বিভিন্ন পৌরাণিক সাজসহ অংশগ্রহণ করেন। মহাশোভাযাত্রায় প্রায় লক্ষাধিক ভক্তমন্ডলী সংকীর্তনানন্দে নগরীর রাজপথ পরিভ্রমণ করেন। অনুষ্ঠানসূচীতে ছিল মঙ্গলারতি, গুরুপূজা, ভাগবত পাঠ, বিশ্ববাসীর কল্যাণার্থে শ্রীজগন্নাথের সন্তুষ্টি বিধানার্থে ১০ টি অগ্নিহোত্র বৈদিক যজ্ঞ,মঞ্চে ভজন কীর্তন, ভোগারতি, সংকীর্তন। এতে প্রায় পঞ্চাশ হাজারেরও অধিক ভক্তের মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।

কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উদ্‌যাপন কমিটি : কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উদ্‌যাপন কমিটির আয়োজনে ২শ বছরের প্রাচীন নগরীর নন্দনকানন তুলসীধামের কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, পরমতসহিষ্ণুতা প্রদর্শনের নামই অসামপ্রদায়িকতা। এই জনপদে সবার শান্তিপূর্ণ বসবাস বাঙালির আবহমান সংস্কৃতির উৎকৃষ্ট পরিচায়ক। বিকালে তুলসীধামের মোহন্ত শ্রীমৎ দেবদীপ মিত্র চৌধুরী (পুরী) মহারাজের পৌরহিত্যে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথ পরিক্রমা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন। রথ পরিক্রমা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন। এসময় তিনি বলেন, রথযাত্রা শুধু দেবতার নয়, ভক্তেরও। দেবতার প্রতি ভালোবাসার টান থেকেই ভক্তরা রথ টেনে এগিয়ে চলেন। শ্রীচৈতন্যের সময় থেকে বাঙালির সঙ্গে রথের যোগাযোগ আরও গাঢ় হয়েছে, যা পুষ্ট করেছে বাংলার সংস্কৃতিকে। রথ গতি ও এগিয়ে চলার প্রতীক।

সংবর্ধিত অতিথি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, চট্টগ্রাম শহরে ২শ বছরের প্রাচীন তুলসীধামের কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উৎসবে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। এই রথযাত্রায় আছে জয়ের বার্তা। রথযাত্রা তাই প্রাণের আনন্দযাত্রা।

রথযাত্রা উৎসবে বিশেষ অতিথি সিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, রথযাত্রা উৎসব সব সমপ্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্বসৌহার্দ্যবন্ধুত্বের নিগূঢ় সম্পর্ককে অনন্য উচ্চতায় এগিয়ে নেয়। চট্টগ্রামে সব সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শামিল হয় জেনে আমি খুশি হয়েছি।

উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, চসিক প্যানেল মেয়র আব্দুস সবুর লিটন, কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, মহিলা কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, সাবেক কাউন্সিলর বিজয় কুমার চৌধুরী কিষাণ, ব্যবসায়ী মো. সাহাবউদ্দিন, লিটন ধর প্রমুখ। পরে বেলুন উড়িয়ে ও রথের রশি টেনে রথপরিক্রমা উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ। তুলসীধামের কেন্দ্রীয় রথের সাথে মহাশোভাযাত্রা সহকারে শ্রীকৃষ্ণায়ন, মনোহরখালী, টেকপাড়া, সদরঘাট মাইজপাড়া, শাহাজীপাড়া, পার্বতী ফকিরপাড়া, কেদারনাথ তেওয়ারী কলোনি, টাইগারপাস জগন্নাথ সংঘ, সুপ্রভাত বয়েজ ক্লাব, গঙ্গাবাড়ী, পাথরঘাটা গিরিধারী মন্দির ও ইপিজেড শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের রথসহ প্রায় সবগুলো মঠমন্দিরের রথসমূহ পরিক্রমায় অংশ নেয়।

নন্দনকানন বিভাগীয় ইসকনের রথযাত্রা : রথযাত্রা উপলক্ষে নন্দনকানন ইসকনের উদ্যোগে রাধামাধব মন্দির ও শ্রী শ্রী গৌর নিতাই আশ্রম আয়োজিত অনুষ্ঠানে

উদ্বোধক ছিলেন উদ্বোধক সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু ও নগর যুবলীগের সহসভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর সেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন তালুকদার, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ ভট্টাচার্য, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নীলু নাগ, রুমকি সেনগুপ্ত, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন।

আলোচনা পর্ব শেষে আমন্ত্রিত অতিথিরা নিজেদের হাতে রথের রজ্জু টেনে ও বেলুন উড়িয়ে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর ভক্তপূণ্যার্থীরা রথ টেনে নগর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। আগামী ১৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের এই রথযাত্রা উৎসবের সমাপ্তি হবে।

বান্দরবান : বান্দরবানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উদযাপন হয়েছে। রোববার বিকালে প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং রথযাত্রা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মেহেদী হাসান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, উৎসব আয়োজন কমিটির নেতা রাজেস্বর দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বান্দরবান শ্রী শ্রী কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরে বিভিন্ন মাঙ্গলিক আনুষ্ঠানিকতা হয়।

গোলপাহাড় মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদ : নগরীর ও.আর নিজাম রোডস্থ গোলপাহাড় মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব দিনব্যাপী বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে কালী মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। গোলপাহাড় মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ দাশ বিশুর সঞ্চালনায় বিকালে মহাশোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন পরিষদের সভাপতি দোদুল কুমার দত্ত। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সহসভাপতি সাধন সিংহ, নিহার মল্লিক, নিকেল দে, প্রবীর দে, লেনিন পাল, আশুতোষ বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক মুনমুন দত্ত মুন্না, রুভেল দে, মিহির দে, রাজীব চৌধুরী প্রমুখ। মহাশোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোয়াছিবাগানস্থ শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে এসে শেষ হয়।

হাটহাজারী : হাটহাজারীতে গতকাল রবিবার রথযাত্রা উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলার আওতাধীন কাটিরহাট পশ্চিম ধলই শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম পরিচালনা পরিষদ, এনায়েতপুর জগন্নাথ ধাম, মির্জাপুর জগন্নাথ আশ্রম পরিচালনা পরিষদ, মির্জাপুর মধুমঙ্গল সেবা আশ্রম পরিচালনা পরিষদ, হাটহাজারী পৌরসভার জগন্নাথ আশ্রম, নন্দীরহাটস্থ জগন্নাথ আশ্রম ফতেয়াবাদ শশ্মানশ্বরী কালী মাতার মন্দির চত্বর থেকে রথ পরিক্রমা করা হয় , শিকারপুর গৌরাঙ্গ বাড়ি জগন্নাথ আশ্রম পরিচালনা পরিষদ এ উপলক্ষে পৃথক পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবারও গবাদিপশু ধরা, অভিযানে রাঙামাটি পৌরসভা
পরবর্তী নিবন্ধবগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু