নিজেকে বন্দর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম পরিচয় দেন। এরপর দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ৯ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। কিন্তু পুলিশি তৎপরতায় জানা গেল, তিনি পুলিশ নন, রফিকুল ইসলামও তার নাম নয়। প্রকৃতপক্ষে তিনি হচ্ছেন খন্দকার ইশতিয়াক আহম্মদ প্রকাশ বায়েজিদ। ভিন্ন নাম ধারণ করে নিজে লাভবান হতে ভুয়া পুলিশ সেজেছেন। গত শুক্রবার রাতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া এ পুলিশকে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। ভুক্তভোগীদের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে নগরীর বারেক বিল্ডিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের নাম ব্যবহার করে প্রতারণাকারী বায়েজিদ চাদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার হাজীপুর এলাকার মৃত খন্দকার আজিজুর রহমানের ছেলে। থাকে নগরীর সদরঘাট থানার বন্দর কলোনী এলাকায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে বায়েজিদ জানায়, সে মো. মহিউদ্দিনসহ দুই ব্যক্তির কাছ থেকে পুলিশ না হয়েও বন্দর থানার এসআই পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করেছে।
অভিযান পরিচালনাকারী বন্দর থানার এসআই মো. রাজ্জুকুল ইসলাম রুবেল আজাদীকে বলেন, প্রতারক বায়েজিদের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার ভুক্তভোগীদের একজন একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একটি মোবাইল ফোন ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা ৯ হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার পরবর্তী বায়েজিদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।