কক্সবাজার শহরে জলাবদ্ধতা, পর্যটকদের দুর্ভোগ

এম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার | শনিবার , ৬ জুলাই, ২০২৪ at ৫:০৩ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারে সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা বর্ষণে পর্যটন শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্থানীয়দের পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েছেন পর্যটকরাও। গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে টানা বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হয়েছে শহরের নিম্নাঞ্চল। পানির নিচে রয়েছে শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হোটেল মোটেল জোনের প্রধান সড়ক। যার কারণে যান চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটেছে। হোটেলে রুমবন্দী ছিল পর্যটকেরা। অনেকেই সমুদ্র দেখতে হোটেল থেকে বের হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। হাঁটু পরিমাণ পানি ডিঙিয়ে যেতে হয়েছে গন্তব্যে।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সায়েরা বেগম মিনু বলেন, ঢাকায় জলাবদ্ধতা দেখেছি। এবার পর্যটন রাজধানীতেও দেখলাম। রাস্তায় গাড়ি নেই, চলাচলে খুবই কষ্ট হয়েছে। এখানে দেশিবিদেশি পর্যটক আসে। তাই জলাবদ্ধতা নিয়ে সব দপ্তরকে ভাবা উচিত।

শহরের বার্মিজ মার্কেট থেকে বাজারঘাটা পর্যন্ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পাড়ামহল্লার সড়কগুলোও পানির নিচে রয়েছে। পানিবন্দি হয়ে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক কার্যক্রম।

শহরের গোলদিঘি, বৌদ মন্দির সড়ক, বড় বাজার, টেকপাড়া, কালুর দোকান, তারাবনিয়ারছড়া, নুর পাড়া, সমিতি পাড়া, নাজিরারটেক, ফদনার ডেইল, কুতুবদিয়াা পাড়া ও হোটেল মোটেল জোনের বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। অনেক বাসাবাড়িতেও ঢুকে পড়েছে পানি।

শহরের গোলদিঘির পাড় এলাকার বলরাম দাশ অনুপম জানান, ঘুম থেকে ওঠে দেখি রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সকাল থেকে ঘরবন্দী হয়ে ছিলাম। নাস্তা বা বাজার করার জন্যও বের হতে পারিনি। টেকপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহিম বলেন, পাহাড় কাটা ও নালা পরিষ্কার না করার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া পৌর শহরের অধিকাংশ নালা দখল হয়ে গেছে। নালার উপর গড়ে উঠেছে নানা স্থাপনা। পৌর মেয়রের প্রতি অনুরোধ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নালাগুলো যেন দখলমুক্ত করা হয়।

বড় বাজার এলাকার ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, এখানে অনেক দোকানে পানি ঢুকে পড়ে। এতে অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহত্তর টেকপাড়া জনকল্যাণ সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম কেলু বলেন, এখানে নতুন করে রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণ হয়েছে। তাই অনেক সড়ক বন্ধ। পানি চলাচল করতে না পারায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, লাবণী থেকে আরআরআরসি পর্যন্ত নালার পাশে নার্সারি করা হয়েছে। এছাড়া পর্যটন কর্তৃপক্ষ নালার পাশে দেয়াল দিয়েছে। যার কারণে এক্সকেভেটর গিয়ে নালা পরিষ্কার করতে পারছে না। যার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য এলাকায়ও প্রায় ড্রেন পরিষ্কার করা হয়েছে। দ্রুত নালা দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাউবি শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী
পরবর্তী নিবন্ধগাউসিয়া কমিটি সাদেক আলী শাহ (রহঃ) জামে মসজিদ শাখার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান