চীনে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়ি নারী পাচারের অভিযোগে ভাই–বোনসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন রাঙামাটির একটি আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার পারভীনের আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হল– সজীব চাকমা (২১), জেসি চাকমা (২৩) ও মামিয়া চাকমা (২১)। এর মধ্যে সজীব চাকমা ও জেসি চাকমা আপন ভাইবোন; তাদের বাড়ি রাঙামাটির বরকল উপজেলার ঠেগামুখে। আর মামিয়া চাকমা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়ার বাসিন্দা। মামিয়া চাকমা সামপ্রতিকসময়ে গণচীনে পাহাড়ি নারী পাচার ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা কারণে আলোচিত হয়ে উঠেছেন। মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জুন রাঙামাটির বাঘাইছড়ি থানায় এক ভুক্তভোগী নারী এই মামলাটি দায়ের করেন। বুধবার রাতে ঢাকার উত্তরার একটি বাড়ি থেকে মামলার প্রধান আসামি সজীব চাকমা, মামিয়া চাকমা ও জেসি চাকমাকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে রাঙামাটির পুলিশ।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত তাদের জেলে হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা থেকে পাহাড়ি মেয়েদের বিয়েসহ নানান আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে চীনে পাচার করে আসছে একটি সংঘবদ্ধ।
এদিকে, মানব পাচার চক্রের সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল সকালে রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করে স্থানীয়রা। মানববন্ধনে পাহাড়ি নারীদের বিদেশে পাচাররোধে পরিবার ও অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার জন্য তাগিদ দেন।