চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের হিসাব নম্বরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ইস্যু করা চেক জমা না করে আরেকটি হিসাব নম্বরে জমা করে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় অগ্রণী ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার তিন কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক। তারা হলেন অগ্রণী ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার সাবেক কর্মকর্তা (ক্লিয়ার সেকশন) রফিক উদ্দিন কোরাইশী, প্রিন্সিপাল অফিসার শুভম দেওয়ান ও গাজী আরিফুর রহমান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা সুমন মিয়া। চার্জশিটে দায়িত্বে অবহেলার কারণে চসিকের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (বিল) আশুতোষ দে ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (বাজেট) মাসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম–২ এর সহকারী পরিচালক ফয়সাল কাদের চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করেন। দুদক কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
চার্জশিটে বলা হয়, চসিকের হিসাবে জমা না করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া চেক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা সুমন মিয়ার হিসাবে জমা করা হয়। এরমধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা–জাইকার সোনালী ব্যাংক হিসাব থেকে ইস্যু করা ৪১টি চেকের মাধ্যমে ৯৯ লাখ টাকা এবং অন্যান্য বিভিন্ন ঠিকাদারের দেওয়া আরও আটটি চেকের ৯৯ লাখ টাকা একইভাবে তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। এ ঘটনায় চসিকের হিসাব শাখার গাফিলতি ছিল বলে চার্জশিটে বলা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর টাকা জমা না করে আত্মসাতের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। এজহারে বলা হয়, সিটি করপোরেশনের হিসাব নম্বরে টাকা জমা না করে এক ব্যক্তির হিসাব নম্বরে টাকা জমা করার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর জিজ্ঞেস করলে কোরাইশী টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেন।