সীতাকুণ্ডে স্টার লাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কায় উল্টে গিয়ে আবুল কাশেম (৬৪) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে বাসে থাকা আরো ১৫ জন যাত্রী। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় উপজেলার ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সলিমপুর ফকিরহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত কাশেম নগরীর বন্দর থানার নিউ মুরিং আবাসিক এলাকার মৃত আবু জাফরের ছেলে। ঘটনার পরেই মহাসড়কের উভয়পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় একঘণ্টার চেষ্টায় রেকার দিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি সরানো হলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বেপরোয়া গতিতে আসা স্টার লাইন পরিবহনের বাসটি ওভারটেক করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডে সজোরে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা লাগার পর বাসটি মহাসড়কের উপর উল্টে যায়। এ সময় বাসের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই আবুল কাশেমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয় বাসে থাকা আরো ১৫ জন যাত্রী। দুর্ঘটনার পর আগ্রাবাদ ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে বাসটি ফেনীর দিকে যাচ্ছিল। গাড়ির গতি বেশি ছিল, যার কারণে ব্রেক করতে পারেননি চালক। এ সময় গাড়ির চাকা ফাটার মতো বিকট শব্দ শুনেন স্থানীয়রা।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ–সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, দুর্ঘটনা পরবর্তীতে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তার মধ্যে গুরুতর আহত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আরিফ (৩০), কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আব্দুল মোতালেব (৫২) ও ফেনীর সোনাগাজীর স্বপ্না রানীকে (৪৯) চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি খোকন চন্দ্র ঘোষ জানান, ওভারটেকিং প্রতিযোগিতা ও অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে স্টার লাইন পরিবহনের বাসটি। এছাড়া সকাল থেকে বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল ছিল। দুর্ঘটনার পর কিছু সময় মহাসড়কে গাড়ি আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে দুর্ঘটনা পরবর্তী উল্টে পড়া বাসটিকে রেকার দিয়ে সরিয়ে নিলে যানজট স্বাভাবিক হয়ে যায়। বাসটিকে থানায় রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।