ঢাকা থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম হয়ে কাতারের দোহা যাওয়ার কথা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি–১২৫ নম্বরের ফ্লাইটটি। গত বুধবার বিকেলে সেই সূচি ধরে শাহজালালের রানওয়ে ধরে ছুটছিল বোয়িং ৭৩৭–৮ মডেলের উড়োজাহাজটি। কিন্তু উড়ালের ঠিক আগ মুহূর্তে গতি কমিয়ে উড়োজাহাজটি ফিরে এলো হ্যাঙ্গারের সামনে; ঘোষণা আসে, উড়োজাহাজটির মাঝখানের দুটি দরজা আনলকড দেখাচ্ছে। এরপরই বিমানের প্রকৌশলীরা ত্রুটি সারালে বিলম্বিত যাত্রা করে ফ্লাইটটি। খবর বিডিনিউজের।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন ওই ফ্লাইটের যাত্রী, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তার পোস্ট করা সে ছবিগুলোতে দেখা যায়, পেছনে থাকা জরুরি বহির্গমন দরজার গ্লাস ঠিকঠাক করছেন বিমানের প্রকৌশলীরা। যাত্রীরা সবাই উড়োজাহাজের ভেতর বসে আছেন। সে সময়ে উড়োজাহাজের এসি বন্ধ থাকায় প্রচণ্ড গরমে যাত্রীদের হাঁসফাঁস করার কথাও জানান ওই এই ব্যবসায়ী নেতা।
সমস্যা সমাধান করায় পাইলটকে ধন্যবাদ দিলেও বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ভালো না বলে মন্তব্য করে তিনি লেখেন, এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণ করা হয়েছে। একবার হজে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু আজকে যখন সাধারণ যাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করলাম, তখন অভিজ্ঞতাটা ভালো হলো না। মাঝে মাঝেই বিমান নিয়ে এমন খারাপ অভিজ্ঞতার কথা শুনি অন্য যাত্রীদের কাছে। আজকে নিজেই ভুক্তভোগী। তবে ঘটনাটি তেমন গুরুতর ছিল না বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বিমানের জনসংযোগ কর্মকর্তা বোসরা ইসলাম বলেন, সমস্যাটা গুরুতর কিছু না। পাইলট ওড়ার প্রস্তুতি নেয়ার সময় ইন্ডিকেশন পান দরজা আনলকড থাকার। বিমান নিয়ে ফেরার পর ইঞ্জিনিয়াররা দেখেছে। এরপর সামান্য ত্রুটি সারিয়ে বিকাল ৫টা ৪৭ মিনিটে ফ্লাইটটি উড়ে গেছে।