আমার এমন কী হয়েছে যে,
সারা রাত–দিন অষ্টপ্রহর
তোমাকে ভাবতে হবে।
চোখের কর্নিয়ায় হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো
ট্রয় নগরীর হেলেন সেজে বসে আছো অবধারিত।
তুমি আকাশ! তুমি বাতাস! তুমি চাঁদ!
তুমি সূর্য! তুমি মেঘ! তুমি বৃষ্টি!
তুমি সাগর! তুমি নদী! তুমি পাহাড়! তুমি দিগন্ত!
তুমি তেপান্তর! তুমি উদাস দুপুর!
তুমি হরিনীর আকুল করা কস্তুরী!
তুমি মৃত্যু ঘুম! তুমি চিরকালের জাগ্রত প্রহর।
তুমি লাইলি, আমি মজনু! তুমি শিরি, আমি ফরহাদ!
তুমি পারু, আমি দেবদাস! তুমি নার্গিস,
আমি নজরুল! তুমি নির্বাক, আমি বিদ্রোহী!
আমার এমন কী হয়েছে যে, সারাটা জীবন
মরুর খরা বুকে নিয়ে চাতকের মতো জলের জন্য
তোমার দিকে চম্বুকীয় উত্তর মেরু–দক্ষিণ
মেরু হয়ে থাকতে হবে।
আমার এমন কী হয়েছে যে, তোমাকে ছাড়া আমি
আর বাঁচতে পারবো না, প্রিয় রাশিদা বানু?
তোমার ফুল ছুঁয়েছি বলে – আমার হাতে
আর কোনও ফুল ফুটে না।
তোমাকে পরাগায়ন করেছি বলে – আমার চাষে
আর কোনও ফসল ফলে না।
আমার এমন কী হয়েছে? হায়, কী হয়েছে?