জামিনে মুক্ত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়া

| মঙ্গলবার , ২৫ জুন, ২০২৪ at ১০:১২ পূর্বাহ্ণ

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি মুক্তি পান বলে কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান। তিনি বলেন, বিকালে পাপিয়ার জামিনের কাগজপত্র এলে তা যাচাইবাছাই করে তাকে কারামুক্ত করা হয়।

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় নিম্ন আদালত তাকে ২০ বছরের সাজা দেন। পরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। বাকি পাঁচটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। গুলশান থানার মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় গতকাল জামিন পান তিনি। কুমিল্লার আগে পাপিয়া গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। সেখানে এক নারী বন্দির ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরপর ২০২৩ সালে ৩ জুলাই তাকে সেখান থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। খবর বিডিনিউজের।

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন এবং অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার এবং সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় পাপিয়াসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন। ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

এদিকে, কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের রেকর্ড বইয়ে পাপিয়ার বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, পাপিয়া হাজতি রুনা লায়লা ছাড়াও কয়েকজন বন্দিকে গালাগাল ও ভয়ভীতি দেখাতে আঘাত করেছেন। এ ছাড়া তিনি কারাগারের রজনীগন্ধা ভবনে অন্য বন্দি দিতে চাইলে আপত্তি জানিয়েছিলেন। পাপিয়া গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে কারারক্ষীদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ইচ্ছেমতো অন্য বন্দিদের সেল পরিবর্তন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটেকনাফ-রামুতে দেড় লাখ ইয়াবা উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধমদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে অস্ত্র পরীক্ষার সময় মিস ফায়ার