চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জসীম উদ্দীন আহমেদের দায়িত্বভার গ্রহণ ও ১ম মাসিক সমন্বয় সভায় গতকাল সোমবার উপজেলার দুটি পৌরসভার মেয়র ও আটটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ফলে সভার কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় সভা মুলতবি করেন সভাপতি। ১ম সমন্বয় সভায় মেয়র ও চেয়ারম্যানদের মধ্যে কেউ উপস্থিত না থাকায় বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচিত হচ্ছে চন্দনাইশে।
এ ব্যাপারে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করে জানা যায়, গত ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জসিম উদ্দীন আহমদ চেয়ারমান নির্বাচিত হওয়ার পর তার বাসায় দেয়া বক্তব্যে মেয়র ও চেয়ারম্যানদের নিয়ে অপমানজনক বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, মেয়র–চেয়ারম্যান কেউ সৎ নয়। প্রত্যেক ইউনিয়নে গরীব অসহায়দের জন্য ১৭ রকমের ভাতা আসে। উপকাভোগীদের তা দেননা চেয়ারম্যানরা। তিনি আগামীতে ১৫ লাখ টাকা করে দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। ইউপি চেয়ারম্যানরা আরো জানান, আগামী মিটিংয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের এ ধরনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। তার বক্তব্যের ব্যাপারে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় আগামী মিটিংও বর্জন করবেন তারা। এদিকে সমন্বয় সভায় মেয়র ও চেয়ারম্যানরা উপস্থিত না থাকায় প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন ও ১৭টি কমিটি গঠন করাও সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সভাপতি মহোদয়ের সাথে পরামর্শক্রমে সভা আহ্বান করা হয়েছে। মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানরা সভাপতিকে কোনো সমস্যার কথা জানাননি। পারিবারিক সমস্যার কথা জানিয়ে ২ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে আমাকে ম্যাসেজে জানিয়েছিলেন। আর বাকীরা কেউ কিছুই জানাননি বলে জানিয়েছেন ইউএনও। ফলে সভার কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় সভাপতি সভা মুলতবি ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা আমাকে নির্বাচিত করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সার্পোট দিয়েছেন। আমাদের সাথে সবার টেলিফোনে কথা হয়। আমি কারো বিরুদ্ধে কোনো কথা বলিনি। আমি প্রতিহিংসায় বিশ্বাসী নয়। আমি মানুষকে সম্মান দিতে জানি। মেয়র ও চেয়ারম্যানরা উপস্থিত না থাকার বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সাথে কথা বলবো। তবে মানুষের ব্যক্তিগত কাজ থাকতে পারে। পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে নিয়েই আমরা আগামীতে চন্দনাইশকে সাজাবো।