খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল আত্মসাতের মামলা

সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

বাঁশখালী প্রতিনিধি | সোমবার , ২৪ জুন, ২০২৪ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার ও ইউপি মেম্বার শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল ২৩ জুন এমপি মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী মীর মো. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে বাঁশখালী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার ও মেম্বার শহিদুল ইসলাম এবং চাল বিতরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীসহ ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডি চট্টগ্রামকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, খানখানাবাদ ইউনিয়নের এক হাজার জেলের জন্য মাথাপিছু ৫৬ কেজি করে ৫৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। ১১ জুন রাতে এমপি মুজিবুর রহমানের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫৬ টন চাল চাঁনপুর খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করা হয়। কিন্তু কিছু পরিমাণ চাল আসামিদের যোগসাজশে ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত খাদ্য গুদামে না রেখে বেআইনিভাবে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়। যেগুলো বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরদিন ১২ জুন সকাল ৮টায় সংসদ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। উপকারভোগী জেলেরাও চাল নিতে লাইনে দাঁড়ান। এসময় এমপি মুজিবুর রহমান গুদামে কত টন চাল আছে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন হায়দার ৫৬ টন চাল আছে বলে জানান। কিন্তু তখন গুদামে ৪০ টন চাল পাওয়া গেলেও অবশিষ্ট ১৬ টন পাওয়া যায়নি। পরে তা একটা ট্রাকে পাওয়া যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএনবিআর থেকে সরানো হলো মতিউরকে
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা