বাজেট ব্যয়ে ‘নিয়ন্ত্রণ ও ঝুঁকি’ মোকাবেলায় অর্থ বিভাগসহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে স্থায়ী ব্যবস্থা গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি বলেছেন, এর জন্য শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। বাজেট প্রণয়নের পাশাপাশি এর বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণে স্থায়ী ব্যবস্থা থাকলে সেটি সারা বছর মন্ত্রণালয়ের ‘আয় ও ব্যয় ট্রাকিং’ করতে পারবে বলে মনে করছেন তিনি। গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ওয়াসিকা আয়শা খান। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুললে বাজেট ব্যয়ে নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং ঝুঁকি চিহ্নিত করা ও ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা তৈরি হবে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাকে দেশের ইতিহাসে একটি ‘যুগান্তকারী ও জনকল্যাণমুখী’ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব নাগরিকের অবসরকালীন আর্থিক মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত হবে এটি। নতুন স্কিমের বিষয়ে তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশনে সরকার পঞ্চম স্কিম হিসেবে ‘প্রত্যয়’ ঘোষণা করেছে। সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা–কর্মচারী, যারা আগামী ১ জুলাই কর্মক্ষেত্রে যোগ দেবেন, তাদের ক্ষেত্রে এটি বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর হবে।
১৮ থেকে ৫০ বছর এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সি একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর চাঁদা দেওয়া সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন বলে তথ্য দিয়ে ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যে কোনো বাংলাদেশি কর্মীও এ স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। সরকারের ঋণ হিসাবের স্বচ্ছতার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ঋণ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আধুনিকায়ন ও সিস্টেম–বেইজড করা হয়েছে। ট্রেজারি বিল ও ট্রেজারি বন্ড এর বার্ষিক অ্যাকশান ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করা হচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়াটি অটোমেটেড। ফলে সরকারের ঋণের হিসাবায়ন প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন হচ্ছে। প্রতি ৩ মাস অন্তর ডেট বুলেটিন প্রকাশিত হচ্ছে। এ ছাড়া মধ্যমেয়াদি ঋণ কৌশল এবং টেকসই ঋণ বিশ্লেষণপত্র প্রকাশিত হচ্ছে। এতে ঋণ ব্যবস্থাপনায় সরকারের ঝুঁকিসমূহ চিহ্নিত করা সহজ হচ্ছে।’